চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদার বিষ্ণপুরের হাজী আক্কাস আলী মারা গেছেন। শনিবার বিকেলে সদর হাসপাতালে তিনি মারা যান। এ নিয়ে দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত ৩ জন মারা গেলেন। এ নিয়ে জেলায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮১ জন।
চুয়াডাঙ্গায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আক্কাস আলী (৭০) নামে আরও এক বৃদ্ধের মারা গেছেন। শনিবার (১৯ জুন) বিকেল সোয়া ৪ টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এর আগে দুপুরে করোনায় এক নারীসহ দুজনের মৃত্যু হয়। চার ঘন্টার ব্যবধানে ৩ জনের মৃত্যু হলো। এ নিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ৮০ জনে দাঁড়াল । আক্কাস আলী চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার বৃষ্ণপুর গ্রামের গ্রামের মৃত সৈয়দ শেখের ছেলে। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. এসএসএম ফাতেহ আকরাম দৈনিক মাথাভাঙ্গাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে মরদেহ দাফন সম্পন্ন করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। তিনি আরও বলেন, গত ১৪ জুন জ্বর, ঠান্ডা ও শ্বাসকষ্টজনিতসহ সমস্যা নিয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ইয়োলো জোনে ভর্তি হয় আক্কাস আলী। ওই দিন সংগৃহীত নমুনায় ১৬ জুন তার করোনা শনাক্ত হয়। শনাক্তের পর আক্কাস আলীকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। শনিবার (১৯ জুন) বিকেল সোয়া ৪ টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এর আগে শনিবার (১৯ জুন) দুপুরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এক ঘণ্টার ব্যবধানে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নারীসহ দুজনের মৃত্যু হয়। এর তিন ঘন্টা পর আরও একজনের মৃত্যু হয়। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় নতুন করে আরও রেকর্ডসংখ্যক ৭৬ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। করোনা সংক্রমণের এক দিনের সর্বোচ্চ রেকর্ড এটি। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ৫২৩-এ দাঁড়াল। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৭ জন। জেলায় মোট সুস্থ হলেন ১ হাজার ৯৩৮ জন। এ নিয়ে জেলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮১-তে দাঁড়াল।