চুয়াডাঙ্গায় করোনা ভাইরাস উপসর্গ নিয়ে মারা গেলেন এক নারী : নতুন শনাক্ত আরও ৭ জন
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় আরও ৭ জন করোনা ভাইরাস সংক্রমিত রোগী শনাক্ত হয়েছে। বুধবার শনাক্ত হওয়া ৭ জনের মধ্যে একজন সদ্য ভারত থেকে দেশে ফেরা, ৩ জন দামুড়গহুদা উপজেলার, একজন সদর উপজেলার ও দুজন আলমডাঙ্গা উপজেলার। অবাক হলেও সত্য যে, জেলায় নতুন শনাক্তকৃতদের প্রায় সকলেই প্রত্যন্ত অঞ্চলের বাসিন্দা। ফলে গ্রাম বাংলায় ভয়াবহ আকারে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন অনেকে। এদিকে উপসর্গ নিয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের হলুদ জোনে ভর্তির একদিন পরই মারা গেলেন আমেনা বেগম নামের ৪০ বছর বয়সী এক নারী। তিনি দামুড়হুদা কুড়–লগাছীর আলম শেখের স্ত্রী।
চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য বিভাগ বুধবার ২৬ জনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে পায়। ১৯ জনের নেগেটিভ হলেও কোভিড-১৯ পজিটিভ হয়েছে ৭ জনের। এ নিয়ে জেলায় করোনা ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯শ ৪৬ জনে। সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৮শ ৬ জন। মারা গেছেন ৬৫ জন। এর মধ্যে চুয়াডাঙ্গাতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫৯ জন, চুয়াডাঙ্গার বাকি ৬ জন মারা গেছেন ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে। বুধবার নতুন শনাক্তকৃত ৭ জনের মধ্যে সদ্য ভারত থেকে ফেরা ব্যাক্তির বাড়ি টাঙ্গাইলের কালিহাতি উপজেলায়। সদর উপজেলার ১ জনের বাড়ি জেলা শহরের ঈদগাপাড়ায়। আলমডাঙ্গা উপজেলার ২ জনের মধ্যে একজনের বাড়ী কালীদাসপুর ও অপরজনের বাড়ি কামালপুরে। দামুড়হুদা উপজেলার ৩ জনের মধ্যে একজনের বাড়ি চন্দ্রবাস, একজনের বাড়ি কাড়–লগাছী ও অপরজনের বাড়ি পীরপুর কশবা। বর্তমানে চুয়াডাঙ্গায় সক্রিয় রোগীর সংখ্যা স্বাস্থ্য বিভাগের হিসেবে ৭৫ জন। সদর উপজেলার সক্রিয় ২৭ জনের মধ্যে ২৩ জন বাড়িতে, ৩জন হাসপাতালে ১ জন চুয়াডাঙ্গার বাইরে আইসোলেশনে রয়েছেন। আলমডাঙ্গা উপজেলার সক্রিয় ৬ জন রোগীর সকলেই নিজ নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে রয়েছেন। দামুড়হুদা উপজেলায় সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ২৯ জন হলেও এর মধ্যে কয়েকজন সদ্য ভারত থেকে ফেরা। যাদের বাড়ি চুয়াডাঙ্গা জেলাতেই নয়। স্বাস্থ্য বিভাগের হিসেবে ২৯ জনের মধ্যে ১৮ জন বাড়িতে ১১ জন হাসপাতালে আইসোলেশনে রয়েছেন। জীবননগর উপজেলার ১৩ জনের সকলেই নিজ নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে। বুধবার সরকারি ছুটি থাকায় নতুন নমুনা সংগ্রহ করেনি। উপরদিকে দেশে মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ১৬ হাজার ৪শ ৩৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১ হাজার ৪শ ৯৭ জনের কোভিড-১৯ পজিটিভ হয়েছে। মারা গেছেন ১৭ জন। এ নিয়ে দেশে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ৪শ ৫৮ জন। এদিকে চুয়াডাঙ্গায় করোনা আক্রান্তদের মধ্যে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। গতরাত সাড়ে ৯টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের হলুদ জোনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আমেনা বেগম নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি দামুড়হুদা কুড়–লগাছী চ-িপুরের আলম শেখের স্ত্রী। তাকে গত ২৫ মে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সর্দি শ^াস কষ্টসহ করোনা সংক্রমণের উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হওয়ায় তাকে রাখা হয় করোনা হলূুদ জোনে। ২৬ বুধবার তার নামুন সংগ্রহ করা হয়। তবে এদিন ছুটির ল্যাবে প্রেরণ করা হয়নি। তার আগেই তিনি রাত সাড়ে ৯টার দিকে মারা গেলেন। স্বাস্থ্য বিধি মেনে লাশ দাফনের প্রক্রিয়া করা হয়।