স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় আজ মঙ্গলবার (৬ জুলাই) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত আরও ৩ জন মারা গেছেন। এদের মধ্যে দুজন কোভিড-১৯ পজিটিভ একজন উপসর্গ নিয়ে মারা যান। এ নিয়ে জেলায় স্বাস্থ্য বিভাগের হিসেবে মৃতের সংখ্যা ১০৪ জন। চুয়াডাঙ্গায় আক্রান্ত হয়ে চুয়াডাঙ্গার বাইরে চিকিৎসা নিতে গিয়ে মারা গেছেন আরও ১৭ জন। এছাড়াও উপসর্গ নিয়ে মৃতের সংখ্যা অর্ধশতাধিক ছাড়িয়ে গেছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসারসূত্রে জানা গেছে, দর্শনা মোহাম্মদপুরের ৫০ বছর বয়সী রবিউল ইসলাম সর্দি কাশিতে ভুগছিলেন। গত ১ জুলানই র্যাপিড এন্টিজেন পরীক্ষায় কোভিড-১৯ পজিটিভ হয়। আজ মঙ্গলবার তাকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নেয়া হয়। সেখানেই মারা যান তিনি। দামুড়হুদা কুড়ালগাছি আমডাঙ্গার মৃত দিদার হোসেনের ছেলে আব্দুল হামিদ সর্দি কাশি জ¦রে ভুগছিলেন। গত ১ জুলাই র্যাপিড এন্টিজেন পরীক্ষায় কোভিড-১৯ পজিটিভ হয়। ওইদিনই তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের রেডজোনে নেয়া হয়। আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে মারা যান ৫০ বছর বয়সী আব্দুল হামিদ। জীবননগর উপজেলার মাধবখালীর মির কাশেমের ছেলে মির ওসমান সর্দি কাশি জ¦রে ভুগছিলেন। তাকে গত সোমবার রাত ৯টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসাতালে নেয়া হয়। আজ সকাল ১১টার দিকে তিনি মারা যান। তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। স্বাস্থ্য বিধি মেনে মৃতদেহ দাফনের নিদের্শনা দিয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে একের পর এক রোগী ভর্তি হচ্ছে। রেডজোন যেমন উপচেপড়া রোগী, তেমনই হলুদ জোনেও রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। হলুদ জোন ও রোডজোনে শ্বাসকষ্ট নিয়ে চিকিৱসাধীন রয়েছেন দু শতাধীক রোগী। এদের মধ্যে অনেকেরই অবস্থা আশঙ্কাজনক।