স্টাফ রিপোর্টার: করোনা ভাইরাস জনিত রোগ শনাক্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য বিভাগ আরও ১৯ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য কুষ্টিয়া পিসিআর ল্যাবে প্রেরণ করেছে। গতকাল এ নমুনা সংগ্রহের পাশাপাশি হোম আইসোলেশনে থাকা আরও তিনজনকে সুস্থতার ছাড়পত্র দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এছাড়া চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের সাজারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন এক রোগীকে হলুদ জোনে স্থানান্তরের পরদিন গতকাল শনিবার সকাল আনুমানিক ৯টার দিকে মারা গেছেন। তিনি মারামারিতে জখম হয়ে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হন। তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গায় মোট আক্রান্ত ১ হাজার ৫শ ২৮। নতুন ৩ জনের সুস্থতা দিয়ে মোট সুস্থ হলেন ১ হাজার ৪শ ১৮ জন। গতকাল শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত হাসপাতালে তথা প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে ছিলেন ১৪ জন, হোম তথা বাড়িতে আইসোলেশনে ছিলেন ৫৪ জন। শুক্রবার নমুনা সংগ্রহ করা হয়নি। ফলে শনিবার নতুন কোন রিপোর্টও স্বাস্থ্য বিভাগের হাতে আসেনি। চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের কেদারগঞ্জ ও ঈদগাপাড়াসহ বেশ ক’টি মহল্লায় করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী রয়েছে। আসন্ন শীতে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বাড়তে পারে। ফলে সকলকে মাস্ক পরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচলের জন্য পুনঃ পুনঃ অনুরোধ জানানো হচ্ছে। এদিকে চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের ডিহি কৃষ্ণপুরের আব্দুর রহমানের ছেলে কাউছার আলী নামের একজন মারামারিতে জখম হন। তিনি গত ২ নভেম্বর চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। সেই থেকে তিনি হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন ছিলেন। এর এক পর্যায়ে তার শরীরে করোনা ভাইরাস রোগের উপসর্গ দেখা দেয়। ফলে শুক্রবার দুপুরে তাকে হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ড থেকে করোনাভাইরাস জনিত রোগের হুলুদ জোনে স্থানান্তর করা হয়। গতকাল সকালে তিনি মারা যান। তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পিসিআর ল্যাবে প্রেরণ করা হয়েছে। মারামারি এবং মামলাসহ গ্রেফতার সংক্রান্ত তথ্য পৃথক প্রতিবেদনে দেখুন।