চুয়াডাঙ্গায় করোনা উপসর্গ নিয়ে তরুণের মৃত্যু : দুদিনে নতুন শনাক্ত ১০
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের হলুদ জোনে চিকিৎসাধীন থাকা আঠার বছর বয়সী সাব্বির করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। মঙ্গলবার দিনগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে মৃত্যুর কোলে ঢুলে পড়ে সে। তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পিসিআর ল্যাবে প্রেরণ করা হয়েছে। স্বাস্থ্য বিধি মেনে তার লাশ নিজ গ্রাম চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার সরিষাডাঙ্গায় দাফন কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। এদিকে গত দুদিনে চুয়াডাঙ্গার আরও ১০ জন করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে।
বুধবার চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য বিভাগের হাতে ৩৯ জনের নমুনা পরীক্ষার ফলাফল আসে। এর মধ্যে ৪ জনের কোভিড-১৯ পজিটিভ হয়েছে। এদের মধ্যে চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের এতিমখানাপাড়ার একজন, দামুড়হুদা জুড়ানপুরের একজন, জীবননগর উপজেলার কয়া গ্রামের একজন ও পিয়ারাতলার ১ জন। মঙ্গলবার চুয়াডাঙ্গার আরও ৬ জন করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এদের মধ্যে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ৪ জন, আলমডাঙ্গা উপজেলার ২ জন। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ৪ জনের মধ্যে ৩ জন জেলা শহরের পৃথক তিন মহল্লার বাসিন্দ, একজন বিজি হাসপাতালের। আলমডাঙ্গা উপজেলার দুজনের মধ্যে একজনের বাড়ি মুন্সিগঞ্জ ও অপরজনের বাড়ি পাশর্^বর্তি সোনাতনপুরে।
চুয়াডাঙ্গা জেলায় এ পর্যন্ত ৯ হাজার ১শ ২৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ল্যাবে প্রেরণ করা হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়া গেছে ৮ হাজার ৯শ ৬ জনের। এর মধ্যে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী হিসেবে শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৮শ ৩৬ জন। সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৬শ ৬৬ জন। মারা গেছে স্বাস্থ্য বিভাগের হিসেবে ৫৪ জন। বেসরকারি হিসেবে ৫৭ জন। জেলায় বর্তমানে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১১৬ জন। এর মধ্যে হাসপাতালে ৫ জন, ঢাকায় ৪ জন বাড়িতে ১শ ৭ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সক্রিয় রোগীর সংখ্যা চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলাতেই বেশি। সদর উপজেলার ৭১ জন সক্রিয় রোগীর মধ্যে ৬৪ জন বাড়ি,ে ৪ জন হাসপাতালে ৩ জন ঢাকায় রেফার্ড রয়েছে। আলমাঙ্গা উপজেলার ৯জন সক্রিয় রোগীর সকলেই নিজ নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে রয়েছেন। দামুড়হুদা উপজেলার ২০ জন সক্রিয় রোগীর মধ্যে সকলেই বাড়িতে রয়েছেন। জীবননগর উপজেলার ১৬ জন সক্রিয় রোগরি মধ্যে বাড়িতে ১৪ জন, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ১ জন ও রেফার্ড রয়েছেন ১ জন রোগী। বুধবার চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য বিভাগ আরও ৩৯ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য কুষ্টিয়া পিসিআর ল্যাবে প্রেরণ করেছে। এদিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার সরিষাডাঙ্গা গ্রামের সাব্বির নামের একজন তরুণ মঙ্গলবার দিনগত রাতে মারা যান। ওইদিনই তাকে হাসপাতালের হলুদ জোনে ভর্তি করা হয়। আগে থেকেই ফুসফুস জনিত সমস্যা ছিলো সাব্বিরের। করোনা উপসর্গ থাকায় থাকে হাসপাতালের হলুদ জোনে ভর্তি করা হয়। রাতে মারা যায়। তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য কুষ্টিয়া পিসিআর ল্যাবে প্রেরণ করা হয়েছে। বুধবার তার রিপোর্ট পাওয়া যায়নি। বৃহস্পতিবার রিপোর্ট পাওয়া যেতে পারে। সে শামসুল হকের ছেলে।