উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া পুলিশ সদস্য ও জেলা শহরের ইউনুস আলী কোভিড-১৯ আক্রান্ত ছিলেন
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া পুলিশ সদস্য আব্দুল হান্নান কোভিড-১৯ রোগী ছিলেন। তার নমুনা পরীক্ষা রিপোর্ট পজিটিভ হয়েছে। এছাড়া চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের মাঝেরপাড়ার ইউনুস আলীও করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। তার নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট কোভিড-১৯ পজিটিভ হয়েছে। এ নিয়ে চুয়াডাঙ্গায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮। অপরদিকে মঙ্গলবার আরও ২৯ জন করোনা রোগী হিসেবে শনাক্ত হয়েছে। এ দিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১শ ৭০ জন। আরও ১৭ জন সুস্থতার ছাড়পত্র পেয়েছেন। ফলে মোট সুস্থ হলেন ৬শ ৫৭ জন।
চুয়াডাঙ্গা জেলায় মহামারি করোনা নোভেল ভাইরাস সংক্রমণ যেমন বেড়েই চলেছে, তেমনই বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। তবে আক্রান্তের তুলনায় মৃত্যু সংখ্যা ৩ শতাংশের বেশি নয়। জেলার আক্রান্তদের মধ্যে যেমন ১ বছর থেকে ৯০ বছরের নারী পুরুষ শিশু কিশোর রয়েছে, তেমনই বয়স্করাও করোনার সাথে যুদ্ধ করে সুস্থ হয়ে উঠছেন। ফলে আতঙ্কগ্রস্থ হওয়ার চেয়ে সচেতন হওয়ার ওপরই গুরুত্বারোপ করছেন জেলার স্বাস্থ্য বিভাগের কর্তব্যরত কর্মকর্তারা। চুয়াডাঙ্গা জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ মঙ্গলবার আরও ৪৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পিসিআর ল্যাবে প্রেরণ করেছে। এদিন জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের হাতে ৬৯ জনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট এসেছে। এর মধ্যে নতুন ২৯ জনের করোনা পজিটিভ। এর মধ্যে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ১৫ জন, আলমডাঙ্গা উপজেলার ৭জন, দামুড়হুদা উপজেলার ৪জন ও জীবননগর উপজেলার ৩ জন। আক্রান্তদের মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে রয়েছেন ৩৫ জন। হোম আইসোলেশনে রয়েছেন ৪শ ৫৭ জন। অপরদিকে গত ২৩ আগস্ট চুয়াডাঙ্গা মাঝেরপাড়ার ইউনুস আলী নামের একজন মারা যান। তিনি করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেলে তার নমুনা সংগ্রহ করে স্বাস্থ্য বিভাগ। একইদিন চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার মুন্সিগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির কনস্টেবল আব্দুল হান্নান একইভাবে করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করেন। তারও নমুনা সংগ্রহ করে স্বাস্থ্য বিভাগ। তিনিও কোভিড-১৯ রোগী ছিলেন। পুলিশ কনস্টেবল আব্দুল হান্নান কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার ইউসুফপুর গ্রামের রিকাত আলীর ছেলে। স্বাস্থ্য বিধি মেনে ওইদিনই তার নিজ গ্রামে দাফন কাজ সম্পন্ন করা হয়।