স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ৫জন করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে দুজন স্বাস্থ্যকর্মী এবং তিনজন জেলা হিসাবরক্ষকের কার্যালয়ের কর্মচারী। এ নিয়ে জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৩১। মঙ্গলবার দুপুরে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাব থেকে তাদের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট সিভিল সার্জন অফিসে আসে। জেলার সিভিল সার্জন ডা. এএসএম মারুফ হাসান গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘নতুন আক্রান্ত স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে একজন সদর হাসপাতাল এবং অন্যজন সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের। এ পর্যন্ত আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে একজন সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরেছেন, একজন মৃত। এদিকে হিসাবরক্ষকের কার্যালয়ের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা এবং পরবর্তীকালে মঙ্গলবার আরও তিনজন কর্মচারী করোনা পজিটিভ শনাক্ত হওয়ায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কার্যালয়টি পুরোপুরি লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, কয়েক দিন ধরে জেলায় করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। মঙ্গলবার নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৫জন। এরা হলেন- চুয়াডাঙ্গা হিসাবরক্ষণ অফিসের তিনজন, সদর হাসপাতালের মেডিকেল টেকনোলোজিস্ট ও সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসের একজন। চুয়াডাঙ্গার ৪ উপজেলায় এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩১ জন। মোট নমুনা পাঠানো হয়েছে ৫০৮টি। এ পর্যন্ত রিপোর্ট এসেছে ৪১৬টি। চুয়াডাঙ্গা জেলা হিসাবরক্ষণ অফিসের এক কর্মকর্তা আক্রান্ত হওয়ার পর অন্যদের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে পরীক্ষা করে তিনজনের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। জেলায় ৩১২ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে, ১৬ জন হোম আইসোলেশনে ও ১৩ জন হাসপাতাল আইসোলেশনে এবং ১২ জন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে।
সিভিল সার্জন ডা. এএসএম মারুফ হাসান বলেন, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাব থেকে ৬২টি নমুনার প্রতিবেদন এসেছে। এর মধ্য পাঁচজনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। আক্রান্তদের নিয়মিত চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার বলেন, হিসাবরক্ষণ অফিস লকডাউন করা হয়েছে। অফিসের সবার নমুনা পরীক্ষা করার জন্য বলা হয়েছে। জেলায় করোনা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করছি।
উল্লেখ্য, চুয়াডাঙ্গা জেলায় গত ১৬ মার্চ ইতালি ফেরত এক যুবক প্রথম করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হন। সদর হাসপাতালের আইসোলেশনে চিকিৎসা শেষে ৩১ মার্চ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন তিনি।