চুয়াডাঙ্গায় আরও ৫৯ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত : মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭৪
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় আরও ৩ জন করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। এ নিয়ে জেলায় করোনায় মৃতের সংখ্যা ৭৪ জনে দাঁড়িয়েছে। যদিও অনেকেই পরীক্ষা না করিয়ে নিজ নিজ বাড়িতে নিজেদের মতো চিকিৎসা নিয়ে মৃত্যুর কোলে ঢুলে পড়ছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলে এধরনের মৃত্যু বাড়লেও প্রতিকার মিলছে না। হিসেবেও উঠে আসছে না। বিশেষ করে দামুড়হুদার প্রত্যন্ত অঞ্চলের চিত্র খুবই ভয়াবহ। এদিকে বুধবার চুয়াডাঙ্গায় আরও ৫৯ জন করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। এদিন চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য বিভাগ আরও ১৩১ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ল্যাবে প্রেরণ করা হয়েছে। মারা যাওয়ারা হলেন দামুড়াহুদার গার্লস স্কুলপাড়া আছিয়া খাতুন, দশমি পাড়ার সখিনা খাতুন ও বিষ্ণুপুর গ্রামের রুবি খাতুন।
চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য বিভাগ বুধবার ১২৮ জনের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট আসে। ৫৯ জনের করোনা পজিটিভ হয়েছে। নমুনা পরীক্ষা হিসেবে চুয়াডাঙ্গায় শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ৪৬ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ। সপ্তাহ জুড়ে যে হারে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হচ্ছেন তার হার ৪৫ দশমিক ৮৭ শতাংশ। বুধবার ৫৯ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হলেও এদিন ৪০ জন সুস্থতার সনদ পেয়েছেন। যে ৫৯ জন শনাক্ত হয়েছেন এদের মধ্যে সদর উপজেলার ২৯ জন, আলমডাঙ্গা উপজেলার ৪ জন, দামুড়হুদা উপজেলার ১৮ জন, জীবননগর উপজেলার ৮ জন। এতোদিন জীবননগর ও দামুড়হুদায় করোনা ভাইরাস রোগী বেশি শনাক্ত হলেও গতকাল সদর উপজেলায় বেড়েছে এর সংখ্যা। গতরাতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গায় সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ছিরো ৪০১ জন। এর মধ্যে সদর উপজেলার ১২১ জন, আলমডাঙ্গা উপজেলার ৩৭ জন, দামুড়হুদা উপজেলার ১৬২ জন, জীবননগর উপজেলায় ৮১ জন। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৩৬ জন, বাড়িতে রয়েছেন ৩৬১ জন। রেফার্ড রয়েছেন ৪ জন।
দেশে মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত দেশে ২৩ হাজার ৮শ ৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩ হাজার ৯শ ৫৬ জন করোনা ভাইরাস আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে। সুস্থ হয়েছেন অরও ২ হাজার ৬শ ৭৯ জন। মারা গেছেন ৬০জন। এ নিয়ে দেশে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ২শ ৮২ জন। এদিকে গতকাল চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য বিভাগের হিসেবে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে স্থানীয়ভাবে ৬৬ জন ও চুয়াডাঙ্গার বাইরে ৮ জন। এ হিসেবে ৭৪ জন। যদিও চিকিৎসা না নিয়েই উপসর্গে আক্রান্ত হয়ে অনেকেই মারা যাচ্ছেন। গতকাল সন্ধ্যার পর চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার সরোজগঞ্জ এলাকার এক রোগীকে শ^াসকষ্ট নিয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই তার মৃত্য হয়। অপরদিকে দামুড়হুদা উপজেলায় গতকালও উপসর্গ নিয়ে কমপক্ষে ৬ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে দামুুড়হুদা উপজেলা সদরের দুজন, জয়রামপুরের ১ জন, কুড়–লগাছির দুজনসহ অনেকেই রয়েছে। এলাকায় দুদিন আগে ১৪ দিনের লকডাউন করেছে প্রশাসন। পুলিশও তৎপরত। এরপরও অনেকেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছেন না। গতরাতে শেষখবর পাওয়া পর্যন্ত সদর উপজেলার ১২১ জনের মধ্যে ১০৩ জন ছিলেন নিজ নিজ বাড়িতে ছিলেন। হাসপাতালে ছিলেন ১৭ জন। রেফার্ড রয়েছেন ১ জন। আলমডাঙ্গা উপজেলার ৩৭ জনের মধ্যে ৩০ জন বাড়িতে, হাসপাতালে ৬ জন ও রেফার্ড রয়েছেন ১ জন। দামুড়হুদা উপজেলার ১৬২ জনের মধ্যে নিজ নিজ বাড়িতে ১৪৮ জন। হাসপাতালে ১২ জন। রেফার্ড রয়েছেন ২ জন। জীবননগর উপজেলার ৮১ জনের মধ্যে ৮০ জনই নিজ নিজ বাড়িতে। ১ জন হাসপাতালে।