চুয়াডাঙ্গায় আরও ৪০ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত
স্টাফ রিপোর্টার: গত ২৪ ঘন্টায় চুয়াডাঙ্গায় আরও ৪০ জনের দেহে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৮৫৬ জনে। নতুন ১৬ জনসহ এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৪২২ জন এবং মারা গেছেন ১২ জন। গতকাল রোববার রাতে সিভিল সার্জনের কার্যালয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। তবে নমুনা প্রদানের ৫দিন পরে রিপোর্ট আসায় আক্রান্ত অনেকেই অবাধে ঘুরে বেড়িয়েছেন। ফলে করোনা সংক্রমণের মারাত্মক ঝুঁকি বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। তবে দায় নিচ্ছেন না কেউই। ফলে সচেতন মহলের মাঝে মারাত্মক ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। এদিকে, নতুন ৮০ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জনের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পলিমারেজ চেইন রিঅ্যাকশন (পিসিআর) ল্যাব থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় চুয়াডাঙ্গার ৭৬ জনের নমুনার প্রতিবেদন পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ৪০ জনের করোনা পজেটিভ এসেছে। আক্রান্তদের মধ্যে সদর উপজেলায় ২৪ জন, আলমডাঙ্গা উপজেলায় ৯ জন ও দামুড়হুদা উপজেলায় ৭ জন রয়েছেন। নতুন আক্রান্তদের হোম আইসোলেশন ও প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে।
নতুন আক্রান্তদের মধ্যে সদর উপজেলার মুক্তিপাড়ায় এক, মাঝেরপাড়ায় এক, দিগড়িতে এক, তালতলায় এক, দৌলাতদিয়াড়ে তিন, দক্ষিণ হাসপাতাল পাড়ায় তিন, সদর হাসপাতাল এলাকায় এক, শঙ্করচন্দ্রে তিন, পোস্টঅফিসপাড়ায় এক, কেদারগঞ্জে দুই, শাহপুরে এক, পুরাতন হাসপাতালপাড়ায় এক, পল্লিবিদ্যুত অফিসে এক, সদর উপজেলায় এক, সুবদিয়ায় দুইজনসহ মোট ২৪ জন। আলমডাঙ্গা উপজেলায় থানাপাড়ায় দুই, নতিডাঙ্গায় এক, হারদিতে একজনসহ মোট ৯ জন। দামুড়হুদা উপজেলায় জয়রামপুরে এক, বারাদীতে এক, যমুনা ব্যাংকের এক, দশমীপাড়ায় এক, লোকনাথপুরে এক, দর্শনা পুরাতন বাজারে একজনসহ মোট ৭ জন।
জেলায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত সদর উপজেলায়। যেখানে ৪৩৫ জনের শরীরে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ১৩৪ জন সুস্থ হয়েছেন। প্রাণ গেছে ৫ জনের। আলমডাঙ্গায় আক্রান্ত ১৮৬ জনের মধ্যে সুস্থ ১২৮ জন। মারা গেছে ৩ জন। দামুড়হুদায় ১৫৩ জন আক্রান্তে ইতোমধ্যেই ১০৬ জন বেঁচে ফিরেছেন ও মারা গেছে ৪ জন। জীবননগর উপজেলায় করোনার শিকার ৮২ জন, এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৫৪ জন। গত ১৯ মার্চ প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন আলমডাঙ্গা উপজেলার ইতালিফেরত এক যুবক।
চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা. এএসএম মারুফ হাসান বলেন, করোনা মোকাবিলায় ঘর থেকে বের না হওয়ায় সব থেকে উত্তম। এরপরও জরুরি প্রয়োজনে বের হলে মুখে মাস্ক পরে বের হতে হবে এবং সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে হবে।