স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরে নোভেল করোনা ভাইরাস ব্যাপকভাবে সংক্রমিত হচ্ছে। প্রায় প্রতিটি মহল্লাতেই রয়েছে কোভিড-১৯ রোগি। দুদিনে করোনা পরীক্ষার রিপোর্টে গণহারে ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। ফলে সংক্রমণ রোধে বাস্তবমুখি পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরী হয়ে পড়েছে। রোববার ও সোমবারের দুদিনেই চুয়াডাঙ্গায় করোনা আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন ৭৭ জন। এর মধ্যে সোমবারেই শনাক্ত হলেন ৪৬জন। এর মধ্যে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় ২৯ জন, আলমডাঙ্গা উপজেলায় ৯জন, দামুড়হুদা উপজেলায় ৫জন ও জীবননগর উপজেলায় ৩ জন। আলমডাঙ্গা উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামেরই ৬জন করোনা শনাক্ত হয়েছে। ফলে গ্রামটি লকডাউনের কথা ভাবছে প্রশাসন।
চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য বিভাগের হাতে সোমবার রাতে মোট ৮৪ জনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পৌছুয়। এর মধ্যে দুজনের পুনঃপরীক্ষাসহ ৪৮ জনের রিপোর্ট পজিটিভ হয়। নতুন শনাক্ত হয়েছেন ৪৬ জন। এ দিয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলায় মোট ৪৪৬ জন করোনা রোগী শনাক্ত হলেন। সোমবার আরও ১০ জন সুস্থ হয়েছেন। ফলে মোট সুস্থ হয়েছেন ২শ ৩৮জন। মারা গেছেন ৬ জন। উপসর্গ নিয়ে আরও ৩ জনের মৃত্যু হলেও তাদের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। যদিও চুয়াডাঙ্গা ফেরীঘাট সড়কের বাসিন্দা করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া ব্যবসায়ী নেতার নমুনা নেগেটিভ হলেও তার পরিবারের ৩ জনের রিপোর্ট পজিটিভ হয়েছে। এছাড়া চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকায় যারা আক্রান্ত হয়েছেন তাদের মধ্যে ফিরোজ রোডের ২জন, এতিমখানাপাড়ার ১জন, ডিসি অফিসের ১জন, মাস্টারপাড়ার ৩ জন, ইসলামপাড়ার ১জন, এনএসআই অফিসের ১জন, বিআরটিএ অফিসের ১জন, সাদেক আলী মল্লিকপাড়ার ১জন, জীবননগর বাসস্ট্যান্ডপাড়ার ১জন, বড়বাজারপাড়ার আরও ২জন, হাজরাহাটীর ১জন,শ্মশানঘাটপাড়ার ১জন, গোরস্তানপাড়ার ১জন, টাউনফুটবলপাড়ার ১জন, সদর থানার ১জন, মল্লিকপাড়ার ১জন, থানা কাউন্সিলপাড়ার ১জন । এছাড়া দৌলাতদিয়াড়ের ১জন, হাতিকটার একজনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। আলমডাঙ্গা উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামের ৬জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া আলমডাঙ্গা উপজেলা শহরের বাবুপাড়ার ৩জন রয়েছেন। দামুড়হুদা উপজেলার দশমী পাড়ার ১জন, লোকনাথপুরের ১জন দর্শনা শহরের ১জন, মোবারকপাড়ার একজন ও শ্যামপুরের একজন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। জীবননগর উপজেলার তিনজনের মধ্যে একজন পৌর এলাকার বলে ঠিকানা দিয়েছেন। বাকি দুজনের মধ্যে একজন হাসপাতালপাড়ার ও অপরজনক মধুমতির।
চুয়াডাঙ্গা জেলার মধ্যে চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের পরিস্থিতি দিন দিন ভয়াবহ হয়ে উঠছে। ব্যাপকহারে ছড়াচ্ছে করোনা। ভয়ানক ছোয়াছে এ রোগ থেকে নিজেদের রক্ষা করতে যেমন প্রশাসনের তরফ থেকে প্রচার প্রচারণাসহ জরুরী প্রয়োজনছাড়া বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে তেমনই মাস্কছাড়া বাইরে বের হলে জরিমানাও করা হচ্ছে। এরপরও সকল থেকেই শহরের প্রায় প্রতিটি পাড়া মহল্লা বাজারে মানুষের ভিড় বাড়ছে, তেমনই চায়ের দোকানেও খোসগল্পে মত্ত থাকার দৃশ্য চোখে পড়ছে। এছাড়া যারা আক্রান্ত তাদের অনেকেই বিধি বিধান না মেনে প্রকাশে ঘুরতে দেখা যাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। আক্রান্ত বাড়িগুলোতে লাল পতাকা দিয়ে চিহ্নিত করার কার্যখ্রম তেমন বেগবান হচ্ছে না বলে অনেকেরই অভিমত। যদিও ইমাজেন্সি সড়কের একটি বাড়ি সোমবার লকডাউন করা হয়েছে। অপরদিকে হাজরাহাটীর কয়েকটি বাড়ি লকডাউন করা হলেও তাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী সরবরাহ করা হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। এদিকে চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের প্রায় প্রতিটি মহল্লায় ভয়ানক ছোঁয়াচে রোগ করোনা ছড়িয়ে পড়ায় প্রশাসনের আশু পদক্ষেপ নেয়া জরুরী হয়ে পড়েছে বলে সচেতনমহলের অনেকেই অভিমত ব্যাক্ত করেছেন।
রাতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আক্রান্তদের মধ্যে হোম আইসোলশেনে তথা বাড়িতে আইসোলেশনে ১৬২ জন। প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে রয়েছেন ৩৮ জন। যারা প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলশনে রয়েছেন তারা চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে বদ্ধ ঘরে থাকলেও হোম বাড়িতে চিকিৱসা নেয়া অনেকেই প্রকাশ্যে ঘুরছেন বলে যে অভিযোগ উঠছে তা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যব্স্থা নেয়া দরকার বলেও বিভিন্ন মহল্লার তরফে জানানো হয়েছে। তাছাড়া কোন কোন বাড়িতে কোভিড-১৯ রোগি রয়েছে তা চিহ্নিত করলে অনেকে সতর্ক হতে পারবেন বলে যেমন অনেকে অভিমত ব্যক্ত করেছেন, তেমনই আক্রান্তদের প্রতি কেউ যাতে অসৌজন্যমূলক আচরণ না করেন সেদিকে নজর রাখারও তাগিদ দিয়ে আসছেন প্রশাসনসহ সচেতনমহল।
এখনো আমরা অসচেতন। সচেতনতা বৃদ্ধি অতি জরুরি।
চুয়াডাঙ্গাতে একটি উন্নত মানের পিসিআর লেব স্থাপন করা হোক।যেখানে covid-19 সহ আরও অনেক রোগের পরীক্ষা করা হবে,সাথে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া নিয়ে গবেষণাকরা যাবে।চুয়াডাঙ্গাতে এই লেব গুলোর বড্ড বেশি দরকার।আমার জানা মতে এ জেলায় একটাও উন্নত মানের লোব নেই। আপনারা এই নিয়ে একটা রিপট লিখতে পারেন যদি কোনো সম্পদশালী ব্যক্তি এগিয়ে আসে তাহলে এই জেলা চিকিৎসা খাতে এক ধাপ এগিয়ে যেতে পারবে।