স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার রেল বাজার রেলওয়ে ওভারপাস নির্মাণ প্রকল্পসহ ১০ প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক)। এগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ২১৬ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। এরমধ্যে সরকারি তহবিল থেকে এক হাজার ৮৭৫ কোটি ৫৭ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক সহায়তা থেকে ৩৪১ কোটি ১৮ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপার্সন শেখ হাসিনা। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী, ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সচিব মামুন-আল-রশীদ এবং আইএমইডির সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান। একনেকে অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হচ্ছে কুষ্টিয়া (ত্রিমোহনী)-মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা-ঝিনাইদহ আঞ্চলিক মহাসড়কের ৮১তম কিলোমিটারে রেলবাজার রেলওয়ে ওভারপাস নির্মাণ প্রকল্প। যশোর অঞ্চলে টেকসই কৃষি সম্প্রসারণ প্রকল্প। মসলার উন্নতজাত ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রকল্প। চরখালী-তুষখালী-মঠবাড়ীয়া-পাথরঘাটা মহাসড়কের পিরোজপুর অংশের জরাজীর্ণ, অপ্রশস্ত বেইলী সেতুর স্থলে পিসি গার্ডার সেতু ও আরসিসি বক্স কালভার্ট নির্মাণ প্রকল্প। কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্প। জামালপুর শহরের গেইটপাড় এলাকায় রেলওয়ে ওভারপাস নির্মাণ প্রকল্প। বাংলাদেশের ৬৪টি জেলা সদরে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবন নির্মাণ প্রকল্প। ঢাকা সেনানিবাসে এমইএসের ভৌত অবকাঠামো সুবিধাদি সম্প্রসারণ প্রকল্প। কক্সবাজার জেলার উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলায় পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন কার্যক্রম জরুরি সহায়তা প্রকল্প। কক্সবাজার-টেকনাফ সড়ক প্রকল্প।
পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করায় প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন ও ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে অর্থ সচিব গর্ভনর হওয়ায় তাকে ও অভিনন্দন জানানো হয়। তিনি আরও বলেন, এখন আর নতুন প্রকল্প নেয়া হবে না। তবে পুরোনো প্রকল্পগুলোকে সংস্কার এবং প্রয়োজনে রাস্তার ঘার ভেঙে সোজা করতে হবে। তিনি বলেন, মসলার অভ্যন্তরীণ ও বৈশ্বিক চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর বাজার মূল্যও অন্যান্য ফসলের তুলনায় বেশি। বর্তমানে বাংলাদেশে মসলার বাজার প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকার। এদেশে প্রায় ৫০ ধরনের মসলা ব্যবহার হলেও মাত্র ৭ ধরনের মসলা জাতীয় ফসল দেশে উৎপাদিত হয়। ফলে দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদার সিংহভাগই আমদানির মাধ্যমে পূরণ করা হয়। এক্ষেত্রে আমদানি নির্ভরতা কমাতে স্থায়ীভাবে মসলার উৎপাদন বাড়ানোর আবশ্যকতা রয়েছে। বাংলাদেশ মসলা গবেষণা কেন্দ্র এখন পর্যন্ত ২২টি মসলা জাতীয় ফসলের ৪৭টি জাত উদ্ভাবন করেছে।
এছাড়া উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য মৃত্তিকা ও পানি ব্যবস্থাপনা, পোকামাকড় ও রোগবালাই ব্যবস্থাপনা, পোস্ট হারভেস্ট প্রযুক্তিসহ ৬৬টি উন্নত প্রযুক্তিও উদ্ভাবিত হয়েছে। এসব জাত ও প্রযুক্তি মাঠ পর্যায়ে সম্প্রসারণ সম্ভব হলে দেশে মসলার উৎপাদন ও কৃষকের আয় বৃদ্ধি পাবে। সেই সঙ্গে আমদানি নির্ভরতা কমানো যাবে। দেশের ৪০টি জেলার ২৫টি হর্টিকালচার সেন্টারে প্রস্তাবিত প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।