চুয়াডাঙ্গার প্রতিভাবান সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম ডালিমের ইন্তেকাল : শোক
স্টাফ রিপোর্টার: সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম ডালিম ইন্তেকাল করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার ১২ আগষ্ট দুপুরে ঢাকায় নেয়ার পথে আমিন বাজারে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। ইন্না ….. রাজেউন। বেশ কিছুদিন ধরে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।
যমুনা টিভি. দেশ রুপান্তর ও ইউএনবি’র চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি আরিফুল ইসলাম ডালিমের মৃত্যুতে দৈনিক মাথাভাঙ্গা সম্পাদক সরদার আল আমিন তাৎক্ষণিকভাবে শোক প্রকাশ করে বলেছেন, আরিফুল ইসলাম ডালিম আমার খুবই স্নেহভাজনন ছিলেন। বিচক্ষণ প্রতিভাবান আরিফুল ইসলাম ডালিম খুব অল্প বয়সেই সাংবাদিকতা শুরু করেন। ওর সাংবাদিকতার হাতে হাতে খড়ি দৈনিক মাথাভাঙ্গায়। চটপটে বাকপটু মেধাবী যুবক ডালিম যখন সাংবাদিকতা শুরু করেন তখনই বুঝেছিলাম অনেকদূর এগিয়ে যেতে পারবে। সাংবাদিকতায় খুব দ্রুত অনেকদূর এগিয়েও ছিলো। কিন্ত করোনা কাল হলো। করোনা ভাইরাস নিয়ে বহু প্রতিবেদনও করেছে ডালিম। ডালিমের মৃত্যুতে চুয়াডাঙ্গার সাংবাদিকতার জগতে অপূরনীয় ক্ষতি হলো। দৈনিক মাথাভাঙ্গা পরিবার আরিফুল ইসলাম ডালিমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছেন। একই সাথে শোক সন্তুপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনাও জানিয়েছেন মাথাভাঙ্গা সম্পাদক সরদার আল আমিন।
জানা গেছে, ১৯/২০দিন আগে আরিফুল ইসলাম ডালিম সর্দি কাশি জ¦রে আক্রান্ত হন। তার নমুনা পরীক্ষা করে কোভিড-১৯ পজিটিভ হয়। প্রথমে তাকে বিজি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে নেয়া হয় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে। রেডজোনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দিন দিন শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। এক পর্যায়ে নেয়া হয় নিবিড় পর্যবেক্ষণ কক্ষে। পরিবারের সদস্যরা তাকে ঢাকায় নেয়ার সিদ্ধান্ত নন। নেয়া হয় ঢাকার পথে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা আনুমানিক ৩টার দিকে আমিন বাজার নামক স্থানে মারা যান ডালিম। তার মৃত্যুর খবর ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে সাংবাদিক মহলে শোকের ছায়া নেমে আসে। আরিফুল ইসলাম ডালিমের মৃতদেহ জেলা শহরের মাঝেরপাড়াস্থ নিজ বাড়িতে নেয়া হবে। তিনি ২ সন্তানের জনক ছিলেন। স্ত্রী, মাতা পিতা ও দু সন্তানসহ বহু গুণগ্রাহী রেখে গেছেন তিনি।