চালককে চেতনানাশক খাইয়ে ইজিবাইক ছিনতাই

চুয়াডাঙ্গায় ডাকাতি অন্যদিকে অজ্ঞানপার্টির সদস্য সক্রিয়

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে ডাকাত ও ছিনতাইচক্রের সদস্যরা। বিভিন্ন সড়কে ডাকাতিসহ বাস, গরুরহাটসহ বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্নভাবে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে অজ্ঞান করে নিয়ে যাচ্ছে টাকা পয়সা। একদিকে ডাকাতি অন্যদিকে অজ্ঞানপার্টির সদস্য সক্রিয় হয়েছে উঠেছে। গত বৃহস্পতিবার দিনেদুপুরে অটো চালককে চেতনানাশক খাইয়ে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাটি ঘটেছে সদর উপজেলার ডিহি কৃষ্ণপুর গ্রামের মাঠে। ওই চালকের নাম ইউসুফ (১৮)। তিনি দামুড়হুদা উপজেলার নাস্তিপুর গ্রামের পূর্বপাড়ার দিনমজুর ওমর ফারুকের ছেলে।

পারিবারিক সূত্র জানায়, দর্শনা বাসস্ট্যান্ড থেকে তিনজন ইজিবাইকটি ভাড়া করে ডিহি কৃষ্ণপুর মাঠ থেকে আম নেয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। পরে দোস্ত গ্রাম পার হয়ে ডিহি কৃষ্ণপুর গ্রামের মাঠের মধ্যে গরমের অজুহাত দেখিয়ে দাঁড় করিয়ে বিস্কুটের সঙ্গে পানীয় পান করায়। চালক অচেতন হয়ে গেলে তারা ইজিবাইক নিয়ে পালিয়ে যান। স্থানীয়রা অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকা ওই চালকের পকেটে থাকা মোবাইল দিয়ে তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. জোবাইদা জামান জয়া জানান, চেতনানাশক ওষুধ খাওয়ানোর পর তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। এরপর তাকে চিকিৎসা দেয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার জ্ঞান ফিরেছে। বর্তমানে তিনি সুস্থ আছেন।

এ বিষয়ে দর্শনা মডেল থানার ওসি ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। সিসি ক্যামেরা ফুটেজ চেক করছি। তদন্ত চলমান রয়েছে।

এদিকে পত্রিকার বরাত দিয়ে স্থানীয়রা জানিয়েছে, চুয়াডাঙ্গায় ডাকাতি ও ছিনতাইকারীরা কৌশল পাল্টিয়ে যেখানে সেখানে কয়েকদিন পরপর ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেই চলেছে। আর মাত্র ১২ দিন পর পবিত্র ঈদুল আজহা অনুষ্ঠিত হবে। তাই আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সজাগ থেকে ডাকাতি ও ছিনতাই প্রতিরোধ করার দাবি জনিয়েছে সচেতন জনগণ।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More