ঘরে ঘরে গড়া হবে শিল্প সকলে পাবে স্বচ্ছ্বলতার স্বস্তি
ফ্রিজ প্রতীক নিয়ে পথে প্রান্তরে ছুটছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহাজ্ব এমএ রাজ্জাক খান রাজ
স্টাফ রিপোর্টার: হিংসা নয়, সম্প্রীতির সমাজ গড়ার লক্ষে ফ্রিজ প্রতীকে ভোট দেয়ার আহ্বান জানিয়ে দৃঢ় প্রত্যয়ে পথে প্রান্তরে ছুটছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহাজ এমএ রাজ্জাক খান রাজ। তিনি গতকাল রোববার তাবলিগ জামায়াতের আহ্বানে আলোচনাসভায় অংশ নিয়ে ধর্মপ্রাণ মসুল্লিদের ভোট প্রার্থনা করার পাশাপাশি মাঠে ময়দানে সাধারণ ভোটারদের কাছে ছুটেছেন। বিবেক দিয়ে বিবেচনা করে ভোট দেয়ার সবিনয় অনুরোধ জানিয়েছেন। বলেছেন, যোগ্য ব্যক্তিকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করা সচেতন সমাজের দায়িত্বেরই অংশ। বক্তব্যে, আচারণে তথা নিজের উৎকর্ষতা মেলে ধরে ভোটার সাধারণকে কাছে টেনে প্রার্থী আব্দুর রাজ্জাক রাজের ঘুরে ফিরেই সরল উক্তি, বর্তমান সরকারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় দেশ যতোটা এগিয়েছে, তুলনায় চুয়াডাঙ্গা পিছিয়ে। সরকারি হাসপাতালের বেহাল দশা। অসুস্থ অসহায় মানুষগুলোকে স্থানীয় সরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা না পেয়ে ছুটতে হচ্ছে রাজশাহী, ঢাকাসহ দূরদূরান্তে। এটা কাম্য নয়। এলাকাবাসীর ভোটে জনপ্রতিনিধি হওয়ার সৌভাগ্য হলে সার্বিক অবস্থার আমল পরিবর্তন করবো ইনশাল্লাহ। চুয়াডাঙ্গার মাটি কৃষি উর্বর। সোনাফলা এ মাটিতে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধিতে সকল প্রকার পদক্ষেপ নেয়া হবে। মাথাভাঙ্গা নদীর উৎসমুখ খুলে নদীর পানি স্তর-স্রোত বাড়ানোর চেষ্টায় কমতি থাকবে না। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালনায় আত্মীয়করণ নয়, সংশ্লিষ্ট এলাকার শিক্ষানুরাগীদের মতামতের ভিত্তেতে যোগ্য ব্যক্তিকেই দায়িত্ব দেয়া হবে স্বচ্ছ্বতার সাথে।
চুয়াডাঙ্গা-১ নির্বাচনী এলাকায় ফ্রিজ প্রতীকের প্রার্থী আরও বলেছেন, কর্মের সুবাদে বিশ্বের বহু দেশ ঘুরে দেখেছি কীভাবে ঘরে ঘরে শিল্প গড়ে তোলা যায়। জনগণের দোয়ায় মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় দায়িত্ব পেলে ঘরে ঘরে শিল্পগড়ে তুলে চুয়াডাঙ্গা-আলমডাঙ্গাকে সত্যিকারের স্মাট নির্বাচনী এলাকা হিসেবে উপহার দেবো ইনশাল্লাহ। একটি যন্ত্রের ছোট ছোট অংশ গ্রামের পরিবার ভিত্তিক ভাগাভাগি করে তৈরি করলে সকলের ভাগ্যের চাকা ঘুরবে সমান গতীতে। ক্ষুদ্র ঋণের কিস্তি নামক অসহনীয় বোঝা কারো ঘাড়ে থাকবে না। কিস্তি দিতে না পারার কারণে কাউকে বাড়ি ছেড়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরতে হবে না। পিছিয়ে পড়া পরিবার পাবে স্বচ্ছ্বলতার স্বস্তি।
ইসলামিক বাণিজ্য শিক্ষায় উচ্চতর ডিগ্রি অর্জনকারী দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বৈদ্যুতিক পণ্য প্রস্তুতকারক হিসেবে দেশের জন্য বিশেষ অবদান রাখার পাশাপাশি যে ব্যক্তি দেশের ক্রীড়াঙ্গনকে গতিশীল করার লক্ষে অবদান রেখে চলেছেন, তিনি দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠনের গুরুত্বপুর্ণ পদ ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করে প্রশংসিত হয়েছেন। বর্তমানেও তিনি এই সংগঠনের পরিচালক পদে নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করছেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপ কমিটির সদস্য এমএ রাজ্জাক খান রাজ সিআইপি নিজ জন্মভূমি চুয়াডাঙ্গা- আলমডাঙ্গাবাসীর কল্যাণে তথা সার্বিক উন্নয়নে অবদান রাখার লক্ষ্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। প্রতীক পেয়েছেন ফ্রিজ। ত্রিশালে ফ্রিজ, এসি তৈরির বিশাল কারখানা। এ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে লক্ষাধিক মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। মিনিস্টার-মাইওয়ান গ্রুপের চেয়ারম্যান এমএ রাজ্জাক খান রাজ চুয়াডাঙ্গা পলাশপাড়ার নিজের বাড়িতে সেই করোনাকাল থেকেই হাসপাতাল হিসেবে নিখরচায় স্বাস্থ্য সেবাদানের ব্যবস্থা করেছেন। ফ্রিজ প্রতীকের প্রার্থী হয়ে তিনি তার ফ্রিজ মার্কায় ভোট দেয়ার অনুরোধ নিয়ে প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছুটতে গিয়ে দেখা পাচ্ছেন যাদের তাদের মধ্যে অনেকেই বলছেন, ওই ফ্রি চিকিৎসা কেন্দ্র থেকে চিকিৎসা নিয়ে উপকৃত হওয়ার কথা। প্রকাশ করছেন কৃতজ্ঞতা। মসজিদ মাদরাসার উন্নয়নে তিনি দীর্ঘদিন ধরেই বিশেষ অবদান রেখেছেন। এর ফলেও সমাদৃত হচ্ছেন তিনি।
এদিকে, প্রতিদিনের গণসংযোগে জনপ্রিয়তা বাড়ছে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী রাজ্জাক খানের। দিন-রাত গণসংযোগে ব্যস্ত সময় পারছেন করছেন চুয়াডাঙ্গা সদর ও আলমডাঙ্গা উপজেলার এ প্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। তাকে পেয়ে আবেগে আপ্লুত হচ্ছে ভোটারারও। তার প্রতিশ্রুতি আর ভোটারদের ওয়াদা ভারী করে দিচ্ছে ফ্রীজ প্রতীকের পাল্লা। গতকাল রোববার সকাল থেকে গণসংযোগ পথসভা মতবিনিময় সভা অব্যাহত রেখেছেন তিনি। সকালে নিজ বাসভবনে চুয়াডাঙ্গা সদর ও আলমডাঙ্গা উপজেলার মহিলা মেম্বার ও নারী নেত্রীদের নিয়ে মতবিনিময় সভা করেন। আগত জনপ্রতিনিধি ও নারী-নেত্রীদের নিজ এলাকায় ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ফ্রিজ মার্কায় ভোট দেয়ার আহবান জানান। বেলা ১১টায় সদরের মোমিনপুর ইউনিয়নের সরিষাডাঙ্গায় অবস্থিত রোমেলা রহমানিয়া ফুরকানিয়া মাদরাসায় ওলামা মাশায়েখ ও সাধারণ ভোটারদের সাথে মতবিনিময় ও সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ সময় আলেম ওলামা ও শিক্ষার্থীরা একনজর দেখার জন্য ছুটে আসেন ও সুমিষ্ট কন্ঠে আলোচনা শোনেন। আলহাজ এম এ রাজ্জাক খান রাজ বলেন, আলেমরা সমাজের দর্পণ, সমাজে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে, মাদকমুক্ত চুয়াডাঙ্গা জেলা গড়তে আলেম ওলামাদের বিকল্প নেই। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আপনারা এমন কাউকে সমর্থন করুন যিনি আপনাদের খোঁজ খবর নিবেন। আলেম ওলামাদের পাশে থাকবেন, বেকারত্ব দারিদ্র্যমুক্ত চুয়াডাঙ্গা গড়তে ফ্রিজ মার্কায় ভোট দিন। মসজিদ মাদরাসার এই চুয়াডাঙ্গাকে আরো উন্নত করতে আমি নিরলসভাবে কাজ করছি। চুয়াডাঙ্গায় আধুনিক মানের হাসপাতাল, কলেজ, মাদরাসাসহ সকল উন্নয়নে আমি অবদান রাখতে চাই। বিকেলে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার জান্নাতুল মাওলা কবরস্থানে অ্যাড. মনিরুজ্জামানের জানাজার নামাজ ও দাফনকার্যে অংশগ্রহণ করেন। এ সময় অ্যাড. মনিরুজ্জামানের পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করেন ও গভীর শোক প্রকাশ করেন। পরবরর্তীতে তিনি চুয়াডাঙ্গা শহরের একাডেমি মোড় থেকে বড়বাজার হয়ে দৌলতদিয়ারসহ বিভিন্ন দোকানপাট ও পথচারীদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও পথসভা করেন। বিশিষ্ট শিল্পপতি মিনিষ্টার-মাইওয়ান গ্রুপের চেয়ারম্যান এফবিসিসিআইয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট আলহাজ এম.এ রাজ্জাক খান রাজ সিআইপি ভোটারদের উদ্দেশ্য বলেন, আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আপনারা ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে আমার মার্কা ফ্রিজ মার্কায় ভোট দিবেন। অবহেলিত এই চুয়াডাঙ্গাকে আমি নতুন করে গড়তে চাই স্মার্ট চুয়াডাঙ্গা হিসাবে। আমার অঙ্গীকার আপনাদের সহায়তায় মাদকমুক্ত সমাজ গড়ে চুয়াডাঙ্গা-আলমডাঙ্গার বেকার যুবসমাজকে যুবশক্তিতে রূপান্তরিত করা। চুয়াডাঙ্গা শহরের বিভিন্ন স্থানে দিনব্যাপী গণসংযোগ ও পথসভায় উপস্থিত ছিলেন ছিলেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সভাপতি সৈয়দ ফরিদ আহমেদ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান হাফিজ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা বিপ্লব হাসান, ছাত্রলীগ নেতা সজল আহমেদ, নুরুল ইসলাম, নারীনেত্রী শিউলি খাতুন, মেম্বার রাজন, মাসুদা পারভিন, নজরুল ইসলাম, সাবিনা ইয়াসমিন, আলমঙ্গীর হোসেন, ঠান্টু রহমান, রংপতি বেগম, ওহিদুল ইসলাম, রেহানা খাতুন, ইদ্রিস আলী, নাসিমা খাতুন, মনিরুজ্জামান, মানারুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম, জাহানারা খাতুন, রোকসানা খাতুন, ববিতা খাতুনসহ ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.