গাংনী প্রতিনিধি: নিজেকে কবিরাব বলে দাবি করেন। সর্বরোগের চিকিৎসাও করেন তিনি। সাঙ্গপাঙ্গরা সরলসোজা দরিদ্র মানুষকে হাজির করে দেন কবিরাজের কাছে। তাদের চিকিৎসার নামে অপচিকিৎসা দিয়ে হাতিয়ে নেন অর্থ। তবে হয়নি শেষ রক্ষা। ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে কবিরাজ সাজিদ রহমানকে (২৪) একমাসের কারাদ- দিয়ে পাঠানো হয়েছে কারাগারে। গতকাল সোমবার বিকেলে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার তেরাইল গ্রামে এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইয়ানুর রহমান। দ-িত সাজিদ রহমান নাটোরের লালপুর উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের মাজদার রহমানের ছেলে। গাংনী উপজেলার তেরাইল গ্রামে শ্বশুর বকুল হোসেনের বাড়িতে কবিরাজি করতেন তিনি।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, তেরাইল গ্রামের শ্বশুর বকুলের বাড়িতে থেকে দীর্ঘদিন ধরে কবিরাজী ব্যবসা চালিয়ে আসছেন সাজিদ রহমান। বিভিন্ন এলাকায় নিযুক্ত দালালচক্রের মাধ্যমে রোগী সংগ্রহ করে সর্বরোগের চিকিৎসা দিতেন তিনি। স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালানো হয়। এ সময় সাজিদের ভূয়া চিকিৎসার প্রমাণ মেলে। বাংলাদেশ আয়ুর্বেদিক ও ইউনানী আইনে তাকে দোষী সাব্যস্ত করে এক মাসের কারাদ-াদেশ ভ্রাম্যমাণ আদালত। ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্দেশে দ-িত সাজিদ রহমানকে মেহেরপুর জেলা কারাগারে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে বলে জানায় গাংনী থানা।