গাংনীতে বিকট শব্দে ককটেল বিস্ফোরণ : যুবদল আহ্বায়ক সাইদুর আটক
বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে ছাত্রলীগের মিছিল : এলাকাজুড়ে আতঙ্ক
স্টাফ রিপোর্টার: মেহেরপুরের গাংনী শহরে ককটেল বিস্ফোরণ এবং অবিস্ফোরিত তিনটি ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় বিএনপি নেতাকর্মীদের দায়ী করে তাদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ছাত্রলীগ। তবে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিএনপি নেতারা। সোমবার (২৮ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার কিছুক্ষণ পর পুলিশ সাবেক কাউন্সিলর ও উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক সাইদুর রহমানকে আটক করেছে পুলিশ। ওই ঘটনার পর এলাকাজুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কমকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক জানান, গাংনী উত্তরপাড়ায় অবস্থিত সরকারি পরিত্যক্ত একটি মাছের হ্যাচারির পাশে বিস্ফোরণের খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে যায়। এসময় একটি ব্যাগ থেকে ৩টি ককটেল উদ্ধার করা হয়। ককটেল বিস্ফোরণের বিকট শব্দ পাওয়া গেলেও ঘটনাস্থলে বিস্ফোরণের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি।
এদিকে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে এ ঘটনায় বিএনপি নেতাকর্মীদের দায়ী করে শহরের বিক্ষোভ মিছিল করা হয়েছে। বিক্ষোভ মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে উত্তরপাড়ায় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সাহিদুজ্জামান সিপুর ব্যক্তিগত কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে বক্তব্য রাখেন ছাত্রলীগ নেতারা।
সাবেক ছাত্রনেতা সাহিদুজ্জামান সিপু বিএনপির দিকে অভিযোগ তুলে বলেন, আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিল উপলক্ষে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা রাতে গাংনী শহরে একটি মিছিল বের করে। বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মিছিলটি পৌঁছুলে বিএনপি নেতাকর্মীরা তাদের ওপর হামলা করে। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হামলা প্রতিরোধ করলে তাদের লক্ষ্য করে দুটি ককটেল নিক্ষেপ করা হয়। ককটেল দুটি বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। হামলাকারী বিএনপি নেতাকর্মীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।
বিক্ষোভ মিছিলে আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসিফ ইকবাল অনিক, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জুবায়ের হোসেন উজ্জল, শ্রমিক লীগ নেতা মনিরুজ্জামানসহ নেতৃবৃন্দ।
গাংনী উপজেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবলু জানান, বিএনপি নেতা এডাম ও জামাল বাজার থেকে বাড়ি যাওয়ার সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের কয়েকজন তাদের ধাওয়া করে। তারা পালিয়ে যায়। অথচ উল্টো বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।
এদিকে বিস্ফোরণের স্থান পরিদর্শন করেছেন গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক ও র্যাব-১২ গাংনী ক্যাম্পের একটি টিম।
এ বিষয়ে গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক জানান, অবিস্ফোরিত তিনটি বোমা প্রাথমিকভাবে নিষ্ক্রিয় করে থানা হেফাজতে নেয়া হয়েছে। ককটেল রাখা ও বিস্ফোণের সঙ্গে কারা জড়িত তা তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।