গাঁজা সেবনের সময় দেনাপাওনা নিয়ে তর্ক, হাসুয়া দিয়ে কুপিয়ে খুন
দামুড়হুদার কাদিপুরে কিতাব আলী হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার ৩ : স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি
ডেস্ক নিউজ: দামুড়হুদার কাদিপুরে ভ্যানচালক গাঁজা বিক্রেতা কিতাব আলী হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। লাশ উদ্ধারের একদিনের মাথায় গ্রেফতার করা হয়েছে হত্যাকাণ্ডে জড়িত তিনজনকে। তাদের মধ্যে দুজন হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দিও দিয়েছেন। এর আগে বৃহস্পতিবার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানিয়েছেন পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন।
পুলিশ সুপার জানান, দামুড়হুদা উপজেলার কাদিপুর গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে কিতাব আলীর মরদেহ গত বুধবার (১৯ এপ্রিল) সকালে কাদিপুর গ্রামের একটি মাঠ থেকে উদ্ধার করা হয়। কিতাব আলীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে কে বা কারা কাদিপুর গ্রামের একটি ঘাষের মাঠে ফেলে রাখে। বুধবার সকালে এলাকাবাসীর মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। পরদিন বৃহস্পতিবার দামুড়হুদা থানায় নিহতের স্ত্রী রাবেয়া খাতুন বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলা দায়েরের ১২ ঘণ্টার মধ্যে দামুড়হুদা থানা পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশ অনুসন্ধান চালিয়ে রহস্য উদঘাটন করে এবং হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত অভিযোগে ৩ জনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতরা হলো, দামড়হুদা উপজেলার কাদিপুর গ্রামের শাহাবুদ্দিনের ছেলে জাহাঙ্গীর, রমজান আলীর ছেলে সাইফুল ইসলাম ও লোকনাথপুর গ্রামের মিলন হোসেনের ছেলে হাফিজুর রহমান। গ্রেফারকৃত আসামিদের মধ্যে জাহাঙ্গীর ও হাফিজুর বৃহস্পতিবার রাতে চুয়াডাঙ্গার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রিপন আলীর কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন আরও জানান, ঘটনার রাতে নিহত কিতাব আলী ও মামলার আসামিরা কাদিপুর গ্রামের মাঠে (ঘটনাস্থলে) বসে গাঁজা সেবন করছিল। ওইসময় দেনাপাওনা নিয়ে তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে কিতাব আলীর কাছে থাকা হাসুয়া কেড়ে নিয়ে সাইফুল ইসলাম ও জাহাঙ্গীর বেধড়ক কুপিয়ে কিতাব আলীকে খুন করে।
গ্রেফতারকৃত ৩ জন আসামির সকলকে চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনিসুজ্জামান, দামুড়হুদা সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার জাকিয়া সুলতানা, ডিআইও-১ লুৎফুল কবীর, দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি সাইফুল ইসলামসহ জেলা গোয়েন্দা শাখার কর্মকর্তাবৃন্দ।