খুলনা বিভাগে এক দিনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ২০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। শনাক্ত হয়েছে ৯১৭ জন নতুন রোগী। এই বিভাগে আগের ২৪ ঘণ্টায় ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছিল এবং ৯০৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছিল। সেই হিসাবে আগের দিনের তুলনায় মৃত্যু কমলেও শনাক্ত বেড়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক রাশেদা সুলতানা এই তথ্য জানান।
রাশেদা বলেন, এ নিয়ে বিভাগে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মারা গেলেন ৯১৬ জন। শনাক্তের সংখ্যা ৪৮ হাজার ৭৯৫। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৪৯১ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হলেন ৩৫ হাজার ৬৭৬ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি সাতজনের মৃত্যু হয়েছে কুষ্টিয়ায়। এরপর যশোরে মারা গেছেন পাঁচজন। ঝিনাইদহে তিনজন, চুয়াডাঙ্গায় ও সাতক্ষীরায় দুজন করে এবং মেহেরপুরে একজন মারা গেছেন বলে তিনি জানান। রাশেদা আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগের ১০ জেলায় মোট ২ হাজার ৪০৬ জনের নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ৩৮ দশমিক ১১ শতাংশ। আরটি-পিসিআর, র্যাপিড অ্যান্টিজেন ও জিন এক্সপার্ট এই তিন মাধ্যমে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এর আগের দিন এটি ছিল ৩৯ দশমিক ৭৩ শতাংশ। আগের দিনের চেয়ে ১৩৩টি নমুনা বেশি পরীক্ষা হয়েছে। বিভাগে ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা শনাক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে বাগেরহাটে ৪২, চুয়াডাঙ্গায় ৪১, যশোরে ১৯১, ঝিনাইদহে ৭৩, খুলনায় ২৬০, কুষ্টিয়ায় ১৩৯, মাগুরায় ৫, মেহেরপুরে ৪৭, নড়াইলে ৫২ ও সাতক্ষীরায় ৬৭ জন আছেন।
মোট শনাক্ত বিবেচনায় জেলাগুলোর মধ্যে শীর্ষে আছে খুলনা। খুলনায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্ত হয়েছে ১৩ হাজার ৮২৯ জন। বাগেরহাটে ২ হাজার ৭৯৪, চুয়াডাঙ্গায় ২ হাজার ৮৩৭, যশোরে ১০ হাজার ৩৫০, ঝিনাইদহে ৩ হাজার ৭১১, কুষ্টিয়ায় ৬ হাজার ৮০১, মাগুরায় ১ হাজার ৪২৬, মেহেরপুরে ১ হাজার ৪৯৫, নড়াইলে ২ হাজার ৪২৩ ও সাতক্ষীরায় ৩ হাজার ১২৯ জন।
রাশেদা বলেন, বিভাগে করোনায় মোট মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে খুলনা জেলায় ২২৮, কুষ্টিয়ায় ১৭৩, যশোরে ১১৯, চুয়াডাঙ্গায় ৮১, ঝিনাইদহে ৭৮, বাগেরহাটে ৭৩, সাতক্ষীরায় ৬৫, মেহেরপুরে ৩৮, নড়াইলে ৩৬ ও মাগুরায় ২৫ জন রয়েছেন। বিভাগে শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৮৮ শতাংশ। স্বাস্থ্য দপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, চলতি জুন মাসের প্রথম ২৪ দিনে ১৪ হাজার ৫০৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। মারা গেছেন ২৭১ জন। এর আগের ২৪ দিনে (৮-৩১ মে) শনাক্ত হয়েছিল ২ হাজার ৫৫১ জন। মারা যায় ৬০ জন। অর্থাৎ এখন পর্যন্ত মোট শনাক্ত রোগীর প্রায় ৩০ শতাংশ শনাক্ত হয়েছে চলতি মাসের ২৪ দিনে। আর মোট মৃত্যুরও প্রায় ৩০ শতাংশ হয়েছে এ সময়।