খাসকররা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের জেল-জরিমানা

চাকরি দেয়ার নামে ঘুষ গ্রহণ : অতঃপর চেক ডিসঅনার মামলা

স্টাফ রিপোর্টার: আলমডাঙ্গায় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এক প্রধান শিক্ষকের এক বছর কারাদ- ও ৮ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। চাকরি প্রার্থীর কাছ থেকে ঘুষের টাকা নেয়ার পর চেক দেন প্রধান শিক্ষক। ওই চেক ডিসঅনার মামলার রায় হয় রোববার বিকেলে। দ-িত গোলাম সিদ্দিক আলমডাঙ্গা উপজেলার খাসকররা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তিনি একই এলাকার মৃত কুড়োন মির্জার ছেলে। মামলার বাদী লুৎফর রহমান জানান, ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আরও মামলা আদালতে চলমান রয়েছে।

জানা গেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার খাসকররা গ্রামের মৃত আফসার আলীর পুত্রবধূ জেসমিন খাতুনের শিক্ষকতার চাকরির জন্য প্রায় এক যুগ আগে ১৩ লাখ টাকা ঘুষ হিসেবে নেন খাসকররা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম সিদ্দিক। এক পর্যায়ে চাকরি প্রার্থী চাকরি না পেলে টাকা ফেরত চান। টাকা না দিয়ে দুই দফা আট লাখ করে মোট ১৩ লাখ টাকার দুটি চেক দেন প্রধান শিক্ষক গোলাম সিদ্দিক। কিন্তু ব্যাংকে টাকা না থাকায় চেক ডিসঅনার হলে জেসমিন খাতুনের দেবর লুৎফর রহমান লুঠু বছর দেড়েক আগে আদালতে পৃথক দুটি মামলা করেন। রোববার একটি মামলার রায় ঘোষণা করেন চুয়াডাঙ্গা যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতে বিচারক সিরাজুল ইসলাম গাজী। মামলার বাদী লুৎফর রহমান লুঠু বলেন, ‘প্রধান শিক্ষক গোলাম সিদ্দিক আদালতে হাজিরা না দিলেও তিনি আদালত চত্বরেই ছিলেন। তবে রায় ঘোষণার পরপরই আদালত চত্বর থেকে সটকে পড়েন প্রধান শিক্ষক।

এ ব্যাপারে এলাকার লোকজন জানিয়েছেন, ‘দ-িত প্রধান শিক্ষক গোলাম সিদ্দিকের বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত নেই। তিনি অসংখ্য মানুষের কাছ থেকে চাকরি দেয়ার নামে টাকা নিয়েছেন। বিদ্যালয়ের ল্যাপটপ বাইরে বিক্রি করে দিয়েছেন। বিভিন্ন কারণে গত এক বছর আগে মন্ত্রণালয় তার বেতন স্থগিত করে রেখেছে।’ এ বিষয়ে দ-িত প্রধান শিক্ষক গোলাম সিদ্দিকের কাছে জানতে চাইলে তিনি মোবাইলফোনে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘ভাই দয়া করে পত্রিকায় সংবাদটি দেবেন না। আমি বাদীর সঙ্গে মীমাংসা করে ফেলব।’

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More