খাটের ওপর শুইয়ে মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে তানভীর
দামুড়হুদার নাস্তিপুরে শিশু ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত তানভীর গ্রেফতার : পুলিশের সংবাদ সম্মেলন
দর্শনা অফিস: চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার নাস্তিপুর গ্রামে পাঁচ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে তানভীর হোসেন কাকন (২১) নামের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ঝিনাইদহ জেলার শহরের বাসটার্মিনাল থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত তানভীর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সাথে তার সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে। চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গ্রেফতার তানভীর হোসেন কাকন চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার নাস্তিপুর গ্রামের বেলেমাঠপাড়ার আশরাফুল ইসলামের ছেলে।
চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল-মামুন গতকাল শনিবার দুপুর দেড়টায় তার কার্যালয়ের কক্ষে সাংবাদিক সম্মেলনে ধর্ষণকারী তানভীর হোসেন কাকনকে গ্রেফতারের বিষয়টি তুলে ধরে জানান, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে নাস্তিপুর বেলেমাঠপাড়া গ্রামে অভিযুক্ত তানভির হোসেন কাকন নিজ ঘরে ৫ বছর বয়সী কন্যা শিশুকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। শিশুটির পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসাপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। ঘটনার পরপরই অভিযুক্ত তানভীর পালিয়ে যায়। শিশুটির পিতার অভিযোগে দর্শনা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়।
দর্শনা থানার ওসি ফেরদৌস ওয়াহিদ ও পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) এসএম আমান উল্ল¬াহর নেতৃত্বে ধর্ষণ মামলার মূল রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য দর্শনা থানা পুলিশ এবং ডিবির একাধিক টিম তাৎক্ষণিকভাবে মাঠে নামে। মামলা রুজুর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দর্শনা থানা পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে ঘটনার বিভিন্ন পারিপার্শ্বিকতা ও সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে এবং তথ্য প্রযুক্তির সর্বোচ্চ সহায়তায় অভিযুক্ত তানভীর হোসেন কাকনকে শনিবার ভোরে ঝিনাইদহ জেলার ঝিনাইদহ বাস টার্মিনাল থেকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে গ্রেফতার করে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তিনি নিজেই ধর্ষণের কথা স্বীকার করে বলেন, মোবাইল দেখানোর নাম করে শিশুটিকে ঘরে নিয়ে ঘরের ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে দিয়ে খাটের ওপর শুইয়ে মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর ঘটনাটি কাউকে বললে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। মেয়েটি রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়ি এসে তার স্বজনদের জানালে, স্বজনরা তাকে চুুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে। এ ঘটনায় শিশু কন্যার বাবা বাদী হয়ে গত ২২ জুন দর্শনা থানায় ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধিত) ধারায় মামলা দায়ের করেন। মামালার পর গোপন সাংবাদের ভিত্তিতে শনিবার ভোর আনুমানিক সাড়ে ৫টায় ঝিনাইদহ জেলা সদরের বাসটার্মিনাল হতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ধর্ষণের কথাটি স্বীকার করেন। তাকে এদিন চুয়াডাঙ্গা আদালতে সোপর্দ কর হয় বলে তিনি জানান।