সাদা-কালো দাড়িতে মুখভর্তি মাহতাব উদ্দিনের সরর সোজা উক্তি- ‘কেউ চায় গাড়ি, কেউ চায় বাড়ি, আমি চেয়েছি দাড়ি’ । তার দাড়ির দৈর্ঘ্য বর্তমানে ছয় ফুট। এ উচ্চতার দাড়ি এর মধ্যে তাকে বিশেষ পরিচিতি এনে দিয়েছে। এই দাড়ির জন্য ৬৯ বছরের মানুষটিকে কুষ্টিয়ার প্রায় সবাই চেনে। দাড়ির জন্য গিনেস বুকে নাম তুলতে চান তিনি।
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার চর পাককোলা গ্রামে সোমবার নিজ বাড়িতে তার সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, ছোটবেলায় বাপ-দাদার মুখভর্তি দাড়ি দেখে শপথ করেছিলাম বড় হয়ে তাদের চেয়েও বড় দাড়ি রাখব। সে আশা পূরণ হয়েছে। দাড়ির যত্নে প্রতিদিন চিরুনি দিয়ে তা আঁচড়ান ও তেল দেন। সহজে ভেজামুক্ত করা যায় না বলে সপ্তাহে এক দিন শ্যাম্পু দিয়ে দাড়ি পরিষ্কার করেন। দাড়ির যত্নে সহায়তা করেন স্ত্রী আশানুর বানু । জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত এই দাড়ি রাখার ইচ্ছা রয়েছে তার।
২০০২ সাল থেকে দাড়ি রাখা শুরু করেন। ২০০৪ সালে তিনি পরিবার নিয়ে কুষ্টিয়া শহরে বসবাস করতে থাকেন। এরই মধ্যে তিন দফায় এক হাত করে দাড়ি কেটে ফেলেন। পরে আবার বেড়ে ওঠে। এভাবে এখন তার দাড়ির দৈর্ঘ্য ছয় ফুট। বাইরে চলাচলের সময় ধুলোবালি থেকে রক্ষা পেতে খোপার মতো দাড়ি বেঁধে রাখেন। মাহতাব জানান, তার দাড়ির সৌন্দর্যে আকৃষ্ট হয়ে তার সঙ্গে মানুষ ছবি তুলতে আসেন। তিনি বাউল লালন শাহের ভক্ত। বিভিন্ন জেলায় বাউলদের সঙ্গে ঘুরতেও যান। কৃষিকাজের পাশাপাশি কুষ্টিয়া শহরের কাটাইখানা মোড় এলাকার গ্রিন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অস্থায়ী ভিত্তিতে বিপণন ব্যবস্থাপক হিসাবে কাজ করছেন তিনি। স্ত্রী আশানুর বানু শহরের একটি ক্লিনিকে নার্স হিসাবে কাজ করতেন। বর্তমানে গ্রামের বাড়িতে রয়েছেন। তাদের দুই ছেলে ও দুই মেয়ে। তাদের ইচ্ছা এই দাড়ির জন্য যেন গিনেস বুকে তার নাম ওঠে।