কাশ্মীরের হামলার ঘটনায় পাক-ভারত সামরিক উত্তেজনা তুঙ্গে : বেজে উঠেছে যুদ্ধের দামামা

উভয় পক্ষই সীমান্তে জড়ো করছে সেনা ট্যাংক এবং যুদ্ধবিমান : ভারতের মিসাইল ধ্বংসের পরীক্ষা

মাথাভাঙ্গা মনিটর: চরম উত্তেজনার মধ্যে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধের দামামা বেজে উঠেছে। উভয় পক্ষই সীমান্তে জড়ো করছে সেনা, ট্যাংক এবং যুদ্ধবিমান। উত্তেজনার মধ্যেই গতকাল ভারতীয় নৌবাহিনী মিসাইল ধ্বংসের পরীক্ষা চালিয়েছে। এদিকে বুধবার ভারতের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে গতকাল পাকিস্তানও পাল্টা পদক্ষেপের ঘোষণা দিয়েছে। এই ঘোষণায় দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও ভারতের জন্য পাকিস্তানের আকাশসীমাও বন্ধ থাকার কথাও বলা হয়েছে।
সর্বশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পাঁচটি পদক্ষেপের ঘোষণা দেয়ার পর গতকাল বিকালে পাকিস্তানও পাল্টা পদক্ষেপের কথা জানিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের নেতৃত্বে পাকিস্তান জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির (এনএসসি) বৈঠক থেকে দেয়া ঘোষণায় বলা হয়েছে, ভারতের সঙ্গে সব দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বন্ধ করা হলো। ভারতীয় বিমানগুলোকে পাকিস্তানের আকাশসীমায় প্রবেশের অনুমতি দেয়া হবে না। সেই সঙ্গে ভারতীয়দের পাকিস্তানে যাওয়ার সব ভিসা বাতিল করা হলো। তবে শিখ পুণ্যার্থীদের জন্য বিশেষ ছাড় দেবে পাক প্রশাসন। এনএসসি ভারতের প্রতি কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে জানায়, পাকিস্তানের জন্য নির্ধারিত পানির প্রবাহ ভারতে যদি একতরফাভাবে বন্ধ বা অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেয়, তবে সেটিকে সরাসরি যুদ্ধ ঘোষণা হিসেবে বিবেচনা করা হবে। খবরে বলা হয়, ভারতীয় নাগরিকদের দেয়া সব সার্ক ভিসা বাতিল করেছে পাকিস্তান। এই ভিসার আওতায় পাকিস্তানে অবস্থানরত সব ভারতীয় নাগরিককে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দেশ ছাড়তে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ইসলামাবাদে ভারতীয় হাইকমিশনে নিযুক্ত দেশটির প্রতিরক্ষা, নৌ ও বিমানবাহিনীর কর্মকর্তাদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে পাকিস্তান। অবিলম্বে তাদের পাকিস্তান ছাড়তে বলা হয়েছে। তাদের সহায়তায় নিযুক্ত কর্মীদেরও ভারতে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ইসলামাবাদে ভারতীয় হাইকমিশনে কর্মকর্তার সংখ্যা ৩০-এ নামিয়ে আনতে বলেছে পাকিস্তান। ৩০ এপ্রিলের মধ্যে তা করতে বলা হয়েছে। পাকিস্তান দিয়ে তৃতীয় কোনো দেশের সঙ্গে ভারতের সব ধরনের বাণিজ্যও স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে ইসলামাবাদ।
এদিকে দুই দেশের সীমান্ত পরিস্থিতি সম্পর্কে জানা গেছে, উভয়পক্ষই সীমান্তে শক্তি বৃদ্ধি করছে। সীমান্ত বরাবর এরই মধ্যে অবস্থান নিয়েছে দুই দেশের বিপুল সংখ্যক সেনা, সাজোয়া ট্যাংক, বোমারু বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র। পাক বিমানবাহিনীর ভারত লাগোয়া ছাউনিগুলোর মধ্যে লাহোরসংলগ্ন মুরিদে মোতায়েন করা হয়েছে নজরদারি এবং হামলাকারী ড্রোন। কয়েক বছর আগে তুরস্ক থেকে যে বের‌্যাক্টার টিবি-২ নামের ড্রোন কেনে ইসলামাবাদ, সেগুলোর প্রায় সব কটিই ওই ঘাঁটিতে মোতায়েন করা হয়েছে। বিমানসেনা ঘাঁটির পাশাপাশি জম্মু-কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখায় (লাইন অব কন্ট্রোল বা এলওসি) উচ্চ সতর্কতা জারি করেছে পাক বাহিনী। সেখানকার বাঙ্কারগুলোতে সেনারা অবস্থান নিয়ে আছে।
ভারতীয় সূত্র দাবি করছে, সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় ইসলামাবাদের সৈন্যসংখ্যা বৃদ্ধির প্রমাণ মিলেছে বিমান ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট ‘ফ্লাইটরাডার২৪’-এর স্ক্রিনশট থেকে। এক্স হ্যান্ডলে সেগুলোকে ছড়িয়ে দেন নেটাগরিকদের একাংশ। ওই স্ক্রিনশট অনুযায়ী, পেহেলগাম কা-ের পর দক্ষিণের করাচি বিমানসেনা ঘাঁটি থেকে একের পর এক বিমান উত্তরের লাহোর এবং রাওয়ালপিন্ডির কাছে মোতায়েন করেছে ইসলামাবাদ। পিএএফ১৯৮ এবং লকহিড সি-১৩০ই হারকিউলিস নামের পরিবহন বিমান দক্ষিণের ঘাঁটি থেকে উত্তরে নিয়ে গেছেন রাওয়ালপিন্ডি সেনা কর্মকর্তারা। এ ছাড়া পিএএফ১০১ ও এমব্রায়ের ফেনম ১০০ নামের ছোট জেট বিমানও সেখানে মোতায়েন করা হয়েছে। এদিকে এমন উত্তেজনার মধ্যে গতকাল মিসাইল ধ্বংসের পরীক্ষা চালিয়েছে ভারতীয় নৌবাহিনী। মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্সে এক পোস্টে নৌবাহিনী জানিয়েছে, তাদের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি মিসাইল বিধ্বংসকারী আইএনএস সুরাত সফলভাবে সামুদ্রিক অঞ্চলে একটি দ্রুত, নিচ দিয়ে উড়ে যাওয়া মিসাইল ধ্বংস করেছে। এর মাধ্যমে নিজেদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় আরেকটি মাইলস্টোন অর্জিত হয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড জানিয়েছে, পাকিস্তানের নৌ কর্মকর্তারা করাচি উপকূলে তাদের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে সারফেস টু সারফেস মিসাইলের পরীক্ষা চালাচ্ছে, যার জবাবে এই পরীক্ষা চালানো হলো। আরেক খবরে বলা হয়েছে, ভারত কোনোভাবেই কাশ্মীরের পহেলগামে নিরীহ পর্যটকদের হত্যাকারী এবং এই হামলার নেপথ্যে যারা রয়েছে তাদের ছাড় দেবে না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গতকাল বিহারের এক সভায় তিনি আরও বলেছেন, পাকিস্তানি এসব হামলাকারীর এমন সাজা দেয়া হবে যা কল্পনারও অতীত। মোদি বলেন, বিহারের মাটি থেকে আমি পুরো বিশ্বকে বলছি-ভারত প্রত্যেক সন্ত্রাসীকে এবং তাদের যারা সমর্থন করছে, তাদের চিহ্নিত করবে এবং সাজা দেবে। পৃথিবীর শেষ প্রান্তে গিয়ে হলেও তাদের খুঁজে বের করা হবে। পারমাণবিক শক্তিধর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সামরিক উত্তেজনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কাশ্মীরের পহেলগাঁও হামলাকে কেন্দ্র করে জবাবে সামরিক প্রতিক্রিয়া হবে কিনা প্রশ্ন সেটা নয়। প্রশ্ন হলো তা কখন হবে, শক্তির পরিমাণ কী হবে এবং তার মূল্য কেমন হবে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। দুই দেশের মধ্যে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ, বাগাড়ম্বরতার ফলে পরিস্থিতি ক্রমশ ভীতিকর রূপ নিচ্ছে। ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং সহ অন্যরা হামলার নেপথ্যে পাকিস্তানের দিকে আঙ্গুল তুলেছেন। বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, পহেলগাঁওয়ে হামলাকারীদের পরিচয় শনাক্ত করা হবে। প্রতিজন সন্ত্রাসীকে এবং তাদের মদতদাতাকে শাস্তি দেয়া হবে। তার ভাষায়- আমাদের উদ্যম কখনো ভেঙে যায়নি। তিনি বিহারের মধুবানিতে এক সরকারি অনুষ্ঠানে ভাষণ দিচ্ছিলেন। তিনি আরও বলেন, পুরো দেশ বেদনাহত। কারণ, পহেলগাঁওয়ে নিরপরাধ পর্যটকদের নির্দয়ের মতো হত্যা করা হয়েছে। পুরো দেশ নিহতদের পরিবারের পাশে রয়েছে। অন্যদিকে পাকিস্তান থেকে প্রতিক্রিয়া দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার সেখানে জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির (এনএসসি) ‘ভারতের আগ্রাসী পদক্ষেপের’ জবাব মূল্যায়ন ও তার জবাবে কি ব্যবস্থা নেয়া যায় তা নিয়ে আলোচনা করে। ভারত আটারি সীমান্ত বন্ধ করে দেয়ার পর বৃহস্পতিবার পাকিস্তান সরকার ওয়াগা সীমান্ত বন্ধ ঘোষণা করেছে। এর আগে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারত যেসব পদক্ষেপ নিয়েছিল, পাকিস্তানও ভারতের বিরুদ্ধে প্রায় একই রকম ব্যবস্থা নিয়েছে। ভারতের জন্য বন্ধ করেছে পাকিস্তানের আকাশসীমা। উদ্ভূত ঘটনার প্রেক্ষিতে পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির (এনএসসি) জরুরি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। বৈঠকে পহেলগাঁও হামলার পর অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি তুলে ধরে আলোচনা করা হয়। একই সঙ্গে ওয়াগা সীমান্ত বন্ধ করা সহ আরও কিছু পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। ওই মিটিংয়ে সভাপতিত্ব করেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ। এতে যোগ দেন সামরিক-বেসামরিক শীর্ষ নেতারা। ওদিকে ভারতে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ নিয়েছে প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস। বৃহস্পতিবার দলটির সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে প্রস্তাব গৃহীত হয়। তাতে উপস্থিত ছিলেন দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে, লোকসভায় বিরোধীদলীয় নেতা রাহুল গান্ধী। কমিটি পহেলগাঁওয়ে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানায়। একে কাপুরুষোচিত কাজ বলে অভিহিত করেন তারা। একই সঙ্গে এ হামলার মাস্টারমাইন্ড হিসেবে পাকিস্তানকে দায়ী করে দলটি।
বিবিসি’র সাংবাদিক সৌতিক বিশ্বাস লিখেছেন, মঙ্গলবার পহেলগাঁওয়ে কমপক্ষে ২৬ পর্যটককে হত্যা করা হয়েছে। ২০১৯ সালের পর থেকে ভারতশাসিত কাশ্মীরে এটাই সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসী হামলা। ওই হত্যার পর দ্রুতই নয়াদিল্লি ৫টি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে। এগুলো হলো-১) সিন্ধুনদের পানি চুক্তি স্থগিত করেছে ভারত। ২) উপরন্তু কূটনৈতিক সম্পর্ককে অবনমন করেছে। কূটনৈতিক মিশনের সদস্য প্রায় অর্ধেক কমিয়ে ফেলার কথা বলা হয়েছে। এর মধ্যদিয়ে পাকিস্তানকে কূটনৈতিকভাবে দমন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ৩) আটারিতে অবস্থিত সমন্বিত চেকপোস্ট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ৪) সার্ক ভিসা ছাড়ের স্কিমের আওতায় পাকিস্তানি নাগরিকরা ভারত সফরের অনুমতি পাবেন না এবং ৫) পাকিস্তানি হাইকমিশনের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ১লা মে’র মধ্যে হাইকমিশনের শক্তি ৫৫ থেকে কমিয়ে ৩০-এ নামিয়ে আনতে বলা হয়েছে। ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং কড়া জবাব দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। বলেছেন, ভারতের মাটিতে ন্যক্কারজনক ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তি এবং এর মূলহোতাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। এমন অবস্থায় বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন পাকিস্তানে সামরিক অভিযান চালাতে পারে ভারত। তবে তা কখন এবং কীভাবে, কী মাত্রার হবে তা কেউ জানেন না। সামরিক ইতিহাসবিদ শ্রীনাথ রাঘবন বলেন, আমরা সম্ভবত খুব দৃঢ় একটি প্রতিক্রিয়া দেখতে পাবো, যা পাকিস্তানের মানুষ এবং তাদের নেতাদের সবার প্রতিই দৃঢ় ইঙ্গিত দেয়। ২০১৬ সালের পর থেকে, বিশেষ করে ২০১৯ সালের পর সীমান্ত অতিক্রম করে প্রতিশোধ নেয়ার সীমানা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর চেয়ে কম করা সম্ভবত (ভারত) সরকারের জন্য কঠিন হবে। কিন্তু আগে যেমন ঘটেছে, পাকিস্তানও তার জবাব দিতে পারে। তবে সব সময়ই উভয়পক্ষে ভুল করার ঝুঁকি থেকে যায়। ২০১৬ সালে উরি’তে হামলায় নিহত হয় ভারতের ১৯ সেনাসদস্য। এরপরই ওই বছর সেপ্টেম্বর মাসে সীমান্ত অতিক্রম করে পাকিস্তানের ভেতরে ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ বা হামলা করে ভারত। তারা তখন বলে, পাকিস্তানশাসিত কাশ্মীরে জঙ্গিদের লঞ্চপ্যাড লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়েছে। ২০১৯ সালে পুলওয়ামায় হামলায় ভারতের কমপক্ষে ৪০ জন আধা-সামরিক বাহিনীর সদস্য নিহত হয়। এর জবাবে বালাকোটা ‘জঙ্গিদের ক্যাম্প’ লক্ষ্য করে হামলা চালায় ভারত। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর এটাই পাকিস্তানের অনেক ভেতরে প্রবেশ করে ভারতের হামলা। ওই হামলার জবাবে আকাশ পথে অভিযান চালায় পাকিস্তান। ফলে উভয় বাহিনীর মধ্যে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য যুদ্ধ হয়। তাতে ভারতের একজন পাইলটকে আটক করে পাকিস্তান। এই স্বল্প সময়ের যুদ্ধে উভয় পক্ষ শক্তি প্রদর্শন করেছে। তবে তারা একটি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ এড়াতে সক্ষম হয়েছে। এর দুই বছর পরে ২০২১ সালে তারা নিয়ন্ত্রণরেখায় যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়। পররাষ্ট্রনীতির বিশ্লেষক মাইকেল কুগেলম্যান বিশ্বাস করেন, এর আগের হামলায় ভারতের যে উচ্চ পর্যায়ের প্রাণহানি হয়েছে এবং বেসামরিক লোকজনকে টার্গেট করা হয়েছে তার প্রেক্ষিতে বলা যায় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের শক্তিশালী সামরিক ব্যবস্থা নেয়ার সম্ভাবনা আছে। অবশ্য, যদি (পহেলগাঁও) হামলায় পাকিস্তান কোনোভাবে জড়িত বলে যদি দিল্লি নিশ্চিত হয় বা ধরে নেয়, (তাহলেই এমন ঘটনা ঘটতে পারে)। ভারতের জন্য এই ধরনের ব্যবস্থা নেয়ার প্রধান সুবিধা হবে রাজনৈতিক। কারণ, এমন জোরালো প্রতিক্রিয়া জানানোর জন্য সরকারের ওপর জনগণের প্রবল চাপ থাকবে। এর আরেকটি সুবিধা আছে। যদি ভারত সফলভাবে সন্ত্রাসীদের টার্গেট ধ্বংস করে তাহলে ভারতবিরোধী হুমকি কমে যাবে এবং প্রতিরোধ ক্ষমতা পুনরুদ্ধার হবে। তবে অসুবিধা হলো, এমন প্রতিশোধ নিতে গেলে তাতে গুরুতর সংকট সৃষ্টির ঝুঁকি থাকবে। এমনকি যুদ্ধও হতে পারে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More