স্টাফ রিপোর্টার: পুলিশ কর্মকর্তা-ব্যবসায়ী নেতাসহ করোনামুক্ত হয়েছেন চুয়াডাঙ্গার আরও ১২ জন। বৃহস্পতিবার রাতে নমুনা পরীক্ষার ফলোআপ রিপোর্টে তাদের নেগেটিভ আসে। ১২ জনসহ এ পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা জেলার করোনা আক্রান্ত ৩৮৫ জন করোনা মুক্ত হলেন। বর্তমানে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে ৩৪ জন, হোম আইসোলেশনে ৩৫৫ জন এবং ঢাকায় দুজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাতে চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্যবিভাগ সূত্রে জানতে পেরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেই করোনা মুক্তির খবর জানান চুয়াডাঙ্গা সদর থানার এসআই ভবতোষ রায়। নিজের ফেসবুক আইডিতে তিনি লিখেছেন, ‘পরম করুনাময়ের ইচ্ছায় আমার কোভিড-১৯ ফলোআপ রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। আমার সুস্থতা কামনায় দোয়া করার জন্য আমি সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’ গত ২৩ জুলাই করোনার উপস্থিতি পরীক্ষার জন্য নমুনা দেন এসআই ভবতোষ রায়। ২৭ জুলাই তার করোনা পজেটিভ রিপোর্ট আসে। এরপর থেকেই তিনি চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে আইসোলেশন ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আজ শুক্রবার ছাড়পত্র নিয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
এছাড়াও বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার প্রচার সম্পাদক মাফিজুর রহমান মাফি করোনামুক্ত হয়েছেন। গতকাল ফলোআপ রিপোর্টে তারও নেগেটিভ আসে। গত ২৫ জুলাই নমুনা দেন মাফিজুর রহমান মাফি। ২৯ জুলাই তার করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসার পর থেকে তিনি আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন ছিলেন। করোনা থেকে মুক্ত হওয়ায় মহান আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সকলের কাছে দোয়া প্রার্থনা করেছেন মাফিজুর রহমান মাফি। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে মহামারী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া চুয়াডাঙ্গা জেলার আরও ১০ জন গতকাল সুস্থ হয়েছেন। তারা হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিট এবং হোম আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আজ শুক্রবার তাদের ছাড়পত্র দেয়া হতে পারে।