স্বাস্থ্য বিধির তোয়াক্কা না করে হাট বাজার ব্যাঙ্কে উপচেপড়া ভিড়
স্টাফ রিপোর্টার: করোনা ভাইরাস ভয়ংকর রূপ ধারণ করেছে। ভয়াবহ আকারে ছড়াচ্ছে। অথচ স্বাস্থ্য বিধির তোয়াক্কা না করে বাজারে, ব্যাঙ্কে উপচেপড়া ভিড় জমছে। ভীড়ের ধরণ দেখে স্বাস্থ্য সচেতনদের চোখ কপালে উঠলেও গতকাল রোববার সকলকেই যেনে নীরব দর্শকের ভূমিকায় রয়েছেন। ১৪ এপ্রিল থেকে কঠর লকডাউন শুরু আগেই হুড়োহুড়ির কারণে কতজন যে করোনা আক্রান্ত হয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়বেন তা অনুমান করাও কঠিন হয়ে পড়েছে।
চুয়াডাঙ্গা মেহেরপুরসহ সারা দেশেই করোনা আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। বিশে^র কিছু দেশ বেশামাল অবস্থায়। ঢাকার হাসপাতালগুলোতে তিল ধারণের ঠাঁই নেই। অসহায় স্বজনরা আক্রান্ত নিকটজনকে নিয়ে এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালে ছুটছেন। তাঁদের অসহায়ত্ব সহ্য করাও অসম্ভব হয়ে উঠছে।। টেলিভিশনে প্রতিদিন মানুষের অসহায়ত্বের সচিত্র প্রতিবেদন প্রচার করছে। খবরের কাগজেও উঠে আসছে ব্যথা-বেদনা আর অসহায়ত্বের কথা। অথচ কঠোর বিধি-নিষেধ আরোপের পরও মানুষ যেন তা তোয়াক্কাই করছে না। মাস্ক পরায় অনাগ্রহ। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়টিও মানছে না। মার্কেটগুলোতে হাজার হাজার মানুষ। লকডাউন দিয়ে সমাজ রক্ষা করা কঠিন যদি মানুষ নিজে সচেতন না হয়। বর্তমান পরিস্থিতি এতোটাই ভয়াবহ যে, নিজে সচেতন না হওয়া ছাড়া একজন মানুষও নিরাপদ নয়। করোনা মোকাবেলা করতে হলে, করোনার হাত থেকে বাঁচতে হলে নিজেকে নিজে রক্ষা করা জরুরী। ঘরের বাইরে গেলে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। সাবান-পানি দিয়ে ২০ সেকেন্ড হাত ধোয়া জরুরী। নাক মুখ চোখে অপ্রয়োজনে হাত না দেয়াই ভালো। হাত দেয়ার আগে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। বাড়িতে অবশ্যই গরম পানির ভাপ নিতে হবে।
স্বাস্থ্য বিধি না মেনে চুয়াডাঙ্গার প্রায় সব ক’টি সড়কেই অটোগুলোকে ঠাসাঠাসি যাত্রী নিয়ে ছুটতে দেখা গেছে। চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের বিপনি বিতানগুলোতে যেমন ভিড়, তেমনই ব্যাঙ্কগুলোতে উপচেপড়া ভিড় হয়েছে। ভিড়ের ধরণ দেখে অনেকেই মন্তব্য করতে গিয়ে বলেছেন, মানুষ যেমন আর কেনা কাটার সুযোগ পাবে না। সকলকেই মনে রাখা দরকার, করোনা ভাইরাস প্রতিশেধক ইতোমধ্যেই আবিষ্কার করেছে স্বাস্থ্য বিজ্ঞান। টিকা দেয়ার কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ খুব যে বেশিদিন থাকবে তাও নয়। অল্প কিছুদিন সাবধানে চলতে পারলে নিজের লাভ, সমাজেরও লাভ। সহজ বিষয়টি না বুঝে যারা হুড়োহুড়ির মধ্যে নিজের এবং অন্যের সর্বনাশ ডেকে আনছেন তারা দায়িত্বশীল হবে কবে?
পূর্ববর্তী পোস্ট
পরবর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ