আলমডাঙ্গায় চিকিৎসকের ভুলে হতদরিদ্র প্রতিবন্ধীর ৯ ভেড়ার মৃত্যু
মেয়াদোত্তীর্ণ কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়ানোয় হলো কাল
আলমডাঙ্গা ব্যুরো/মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি: আলমডাঙ্গা উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামে মেয়াদোত্তীর্ণ কৃমিনাশক ওষুধ খেয়ে শারীরিক প্রতিবন্ধীর ৯টি ভেড়ার মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বেলা ১১টার এ ঘটনা ঘটে। সকালে কুমারি ভেটেরিনারী থেকে কৃমিনাশক এভিনেক্স পাউডার নিয়ে আসে। বাড়িতে এসে ওই ওষুধ ৯টি ভেড়াকে খাওয়ানোর পর মুহুর্তের মধ্যে ভেড়াগুলো মারা যায়। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন ভেড়ার মালিক শারীরিক প্রতিবন্ধী অসহায় দরিদ্র হুমায়ুন কবির। যথাযথ ক্ষতিপূরণসহ মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান তিনি।
আলমডাঙ্গার খাদিমপুর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের আবু বক্কর আলীর ছেরে হুমায়ুন কবীর অভিযোগ করে বলেন, আমি খুব গরীব মানুষ। দীর্ঘদিন ধরে ভেড়া পালন করি। আমার ৩০টি ভেড়া ছিলো। আমি গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে পরামর্শ নিতে আলমডাঙ্গা ভেটেরিনারি ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের চিকিৎসক মামুন আলী খানের কাছে যাই। তিনি এক প্যাকেট এভিনেক্স পাউডার দেন। ওই পাউডার ৩ ভাগের দুই ভাগ বাদ দিয়ে এক ভাগ অসুস্থ ভেড়াকে খালি পেটে খাওয়াতে বলেন তিনি। আজ (গতকাল) সকালে পাউডারটি খাওয়ানোর সাথে সাথে ছটফট করে ৯টি ভেড়ার মৃত্যু হয়। কয়েকবার ওই ডাক্তারকে ফোন করে আসতে বলেছি কিন্তু আসেনি। মৃত ভেড়ার মধ্যে ১টি মেড়া, ৩টি খাসি ভেড়া, ২টি পাটি ভেড়া ও ৩টি ধাড়ি ভেড়া রয়েছে। তিনি আরও জানান, আমি লেখাপড়া জানিনে, ওই ঘটনার পর আমি স্থানীয়দের ওষুধটি দেখায়। ওষুধটির মেয়াদ ২০২১ সালে শেষ হয়ে গেছে বলে জানাতে পারি।
মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ দেয়ার বিষয়টি স্বীকার করে আলমডাঙ্গা ভেটেরিনারি ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের চিকিৎসক (এসএএলও) মাসুদ আলী খান জানান, এভিনেক্স পাউডারটি রেনেটা কোম্পানির। এটি কৃমিনাশক পাউডার। তবে, দেয়ার সময় খেয়াল করিনি যে মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। গত ২০২১ সাল পর্যন্ত ওই ওষুধের মেয়াদ ছিলো।
এ ব্যপারে খাদিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোজাহিদুর রহমান লোটাস বলেন, ঘটনাটি খুব মর্মান্তিক ও দুঃখজনক। লোকটা খুব গরির মানুষ। তিনি শারীরিক প্রতিবন্ধি। এই ঘটনার বিচার হওয়া উচিত।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আব্দুল্লাহিল কাফি জানান, ভুল করে ড্রয়ারে রাখার ফলে মেডিসিন মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেছে হয়তো। অসাবধানতাবশত উপসহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মেয়াদোত্তীর্ণ ওষধ দিয়েছেন। তবে বিষয়টি ক্ষতিগ্রস্ত খামাারর সাথে বসে মীমাংসা করা হয়েছে।