আনমনে কিছু দেখছেন? সাবধান! আপনাকেও দেখছে কেন্ট্রোলরুম

চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরে অর্ধশত সিসি ক্যামেরা স্থাপন : উদ্বোধন করলেন পুলিশ সুপার

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের শহীদ হাসান চত্বর কিম্বা কলেজ রোডের কোথাও দাঁড়িয়ে আনমনে কিছু ভাবছেন? রেলবাজার অথবা অন্যকোথাও অপরূপ কিছু চোখের সামনে পেয়ে অপলক তাঁকিয়ে? সাবধান! আপনাকেও কিন্তু দেখছে। চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের কন্ট্রোলরুমে দিন রাত ২৪ ঘণ্টা, সপ্তাহের ৭ দিন সমানতালে পালাক্রমে কর্তব্যরত কর্তা চোখ রাখছেন। কাদের উপর? জেলা শহরের প্রধান প্রধান সড়কে চলাচলকারী সকলের উপর। ফলে অপরাধ করে পালানোর উপায় নেই। জননিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষে নতুন করে স্থাপন করা অর্ধশত সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে পুলিশি নজরদারি করার এ কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে গতকাল বুধবার দুপুরে। জেলা পুলিশের কর্ণধার পুলিশ সুপার কেএম ফয়জুর রহমান পিপিএম সেবা কন্ট্রোলরুমে ফিতে কেটে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এর আগে পুলিশ সুপারের কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত আলোচনাসভায় পুলিশ সুপার চুয়াডাঙ্গার শান্তিপ্রিয় সাধারণ মানুষের প্রশংসা করে বলেন, সাংবাদিকসহ জেলার সুধিসমাজকে সাথে নিয়ে জেলার সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে জেলা পুলিশের সকল সদস্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। সহযোগিতার ধারা অব্যাহত থাকলে আসন্ন দিনগুলো প্রত্যাশিত সুন্দর তথা শান্তিপূর্ণ থাকবে চুয়াডাঙ্গা।
উদ্বোধনকালে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মো. রিয়াজুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজিম উদ্দীন আল আজাদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) অনিছুজ্জামান লালন, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল) জাকিয়া সুলতানা, সদর থানার ওসি শেখ সেকেন্দার আলী, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি ফেরদৌস ওয়াহেদ প্রমুখ। চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের ডিআই-১ আবু জিহাদ ফখরুল আলম খান সূচনা বক্তব্যে বলেন, ২০১৬-১৭ সালে জেলা শহরের প্রধান প্রধান সড়কে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হলেও কয়েক বছরের মাথায় তার বেশিরভাগই বিকল হয়ে পড়ে। ২০১৯ এরপর থেকে সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে নজরদারির বিষয়টি থেমে যায়। চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার হিসেবে বিচক্ষণ কর্মকর্তা কেএম ফয়জুর রহমান পিপিএম সেবা স্যার যোগদানের পরপরই নতুন করে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের বিষয়টির ওপর গুরুত্বারোপ করেন। পুলিশ সুপার নিজেই ব্যক্তিগত উদ্যোগে ঢাকাস্থ এক বন্ধুর মাধ্যমে ৩০টি ক্যামেরা ব্যবস্থা করে দেন। পুরাতনগুলোর মধ্যে কয়েকটি সচল পাওয়া গেছে। বাকিগুলোও ক্রয় করে অর্ধশত ক্যামেরা জেলা শহরের জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে স্থাপন করা হয়েছে। ক্যামেরোগুলো উন্নতমানের। বেশি রেজুলেশনের। ফলে রাত-দিন ছবি পাওয়া যাবে স্বচ্ছ্ব, সুন্দর।
চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরে সিসি ক্যামেরা স্থাপন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার কেএম ফয়জুর রহমান পিপিএম সেবা বলেন, সমাজে যারা অপরাধমূলক ঘটনা ঘটায় তাদের সংখ্যা নিতান্তই নগন্য। সমাজের অধিক মানুষ শান্তিকামি। আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। সাংবাদিক ও সমাজের সাধারণ মানুষের চোখ এবং সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে নজরদারি অব্যাহত থাকলে অপরাধ প্রবনতা হ্রাস পাবে। অপরাধী অপরাধ করে পালানোর সুযোগ পাবে না। তবে সচেতন সমাজকে অবশ্যই পুলিশের সার্বিক সহযোগিতা করার ক্ষেত্রে আন্তরিক হতে হবে। চুয়াডাঙ্গার সকল সাংবাদিকসহ সকল মানুষের নিকট থেকে আমি ও আমার সকল সহকর্মী এ সহযোগিতা পেয়েছে, পাচ্ছে। আগামীতেও পাবে। জাতীয় দ্বাদশ নির্বাচন সম্পন্ন হওয়ার পর জেলা শহরের জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে স্থাপন করা ক্যামেরাগুলো সংরক্ষণসহ এ কার্যক্রমের পরিধি সম্প্রসারণে একটি কমিটিও গঠন করা হবে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More