আজ শনিবার, (১০ জিলহজ)। পবিত্র ঈদুল আজহা। মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব। এদিন দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা ত্যাগের মহিমায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ঈদের নামাজ শেষে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি আদায়ে পশু কোরবানি দেবেন। বিশ্বের ইসলাম ধর্মালম্বি তথা মুসলিমরা ১০ জিলহজ পশু কোরবানি করে থাকেন। তবে ১১ ও ১২ জিলহজও পশু কোরবানি করার বিধান রয়েছে। কিন্তু চলমান করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও বন্যার কারণে ঈদ আনন্দ অনেকটাই ম্লান।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে এবার ঈদগাহ মাঠ বা উন্মুক্ত স্থানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠানে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার। ফলে চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও ঝিনাইদহসহ সারা দেশের মসজিদগুলোতেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবাইকে ঈদের নামাজ পড়তে হবে। নামাজ শেষে কারও সঙ্গে কোলাকুলি বা হাত মেলানো যাবে না। এদিকে শুক্রবার মক্কার সাথে মিল রেখে ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুর কয়েকটি গ্রামে ঈদুল আজহা উদযান করেছে।
ঈদুল আজহা ইব্রাহিম (আ.) ও তার পুত্র ইসমাইল (আ.)-এর সঙ্গে সম্পর্কিত। ইব্রাহিম (আ.) স্বপ্নে আদিষ্ট হয়ে পুত্র ইসমাইলকে আল্লাহর উদ্দেশে কোরবানি করতে গিয়েছিলেন। আল্লাহর পক্ষ থেকে এই আদেশ ছিল ইব্রাহিমের জন্য পরীক্ষা। তিনি পুত্রকে আল্লাহর নির্দেশে জবাই করার সব প্রস্তুতি নিয়ে সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ। বর্ণিত আছে, নিজের চোখ বেঁধে পুত্র ইসমাইলকে বেঁধে যখন জবাই সম্পন্ন করেন, তখন চোখ খুলে দেখেন ইসমাইলের পরিবর্তে পশু কোরবানি হয়েছে, যা এসেছিল আল্লাহর পক্ষ থেকে। সেই ঐতিহাসিক ঘটনার স্মৃতি ধারণ করেই ইব্রাহিম (আ.)-এর ওয়াজিব হিসেবে পশু জবাইয়ের মধ্য দিয়ে কোরবানির বিধান এসেছে ইসলামি শরিয়তে। সেই মোতাবেক প্রত্যেক সামর্থ্যবান মুসলমানের জন্য পশু কোরবানি করা ওয়াজিব। সকালে মুসল্লিরা নিকটস্থ মসজিদে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদুল আজহার দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ আদায় করবেন। খতিব নামাজের খুতবায় তুলে ধরবেন কোরবানির তাৎপর্য।
এ দিকে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার কয়েকটি গ্রামের শতাধিক লোক ঈদুল আযহার নামাজ আদায় করেছেন। শুক্রবার সকালে উপজেলা শহরের চটকাবাড়িয়া ঈদগাপাড়া জামে মসজিদে এ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন মো. রেজাউল ইসলাম।
দীর্ঘদিন ধরে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে হরিণাকুণ্ডু উপজেলার চিথলীপাড়া, ভালকী, বৈঠাপড়া ও ফলসিসহ কয়েকটি গ্রামের মানুষ ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার নামাজ আদায় করে আসছেন।
পূর্ববর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ