চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গা উপজেলা থেকে দিনদুপুরে এক শিশু অপহরণের ১০ ঘণ্টা পর অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার (৩১ মার্চ) বিকেলে আলমডাঙ্গা উপজেলা শহরের কলেজপাড়া থেকে ওই শিশুকে তুলে নিয়ে যায় অপহরণকারীরা। অপহৃত শিশু কাজী আবদুল আজিজ (৪) আলমডাঙ্গা কলেজপাড়ার দন্ত চিকিৎসক কাজী সজিবের একমাত্র ছেলে। অপহরণের কয়েক ঘণ্টার মাথায় শিশু কাজী আব্দুল আজিজের মুক্তিপণ হিসেবে ১০ লাখ টাকা দাবি করে অপহরণকারীরা। শেষমেশ রাত তিনটার দিকে শহরের কথিত এক কবিরাজের বাড়ি থেকে শিশু কাজী ফারহানকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় শিশুর চাচাসহ পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও এলাকাসূত্রে জানা গেছে, বুধবার বেলা ৫টার দিকে বাড়ির গেটে খেলছিল শিশু কাজী ফারহান। এ সময় অজ্ঞাত দুজন জুসের প্যাকেট হাতে ধরিয়ে দিয়ে তাকে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যায়। অপহরণের প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে অপহৃত শিশু কাজী ফারহানের পিতা দন্ত চিকিৎসক কাজী সজিবের মোবাইলফোনে কল দেয় অজ্ঞাত ব্যক্তি। এ সময় ফারহানের মুক্তিপণ হিসেবে ১০ লাখ টাকা দাবি করা হয়। টাকা না দিলে ফারহানকে হত্যা করা হবে বলেও সতর্ক করে দেয় অপহরকরা। এদিকে রাত ৩টার দিকে শহরের পিলখানার নিকটবর্তী কথিত কবিরাজ মিজানের বাড়ি থেকে শিশু কাজি আব্দুল আজিজকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। শিশু ফারহানের পেটে কয়েকটি ইনজেকশন দিয়ে অচেতন করে রাখা হয়েছিল বলে তার পরিবারের দাবি।
আলমডাঙ্গা থানার ওসি আলমগীর কবির বলেন, বুধবার বিকেলে নিজ বাড়ির সামনে থেকে খেলার সময় অপহরণ করে অজ্ঞাতরা। কোনো মুক্তিপণ ছাড়াই ফারহানকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনার সাথে জড়িত শিশুটির বাবার আপন চাচাতো ভাই কাজী সুমনসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।