অটোচালককে কুপিয়ে হত্যা : দৌড়ে বাঁচলেন তিনযাত্রী

ঝিনাইদহে অটো নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তদের গতিরোধ

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালককে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় অটোরিকশার তিনযাত্রী দৌড়ে পালিয়ে প্রাণে বেঁচে যান। গতকাল সোমবার ভোর ৪টার দিকে সদর উপজেলার চাপড়ী গ্রামসংলগ্ন জয় বাংলা ব্রিজের কাছে এ ঘটনা ঘটে। নিহত অটোরিকশাচালকের নাম সাখাওয়াত হোসেন (৩২)। তিনি ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার দীঘল গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে। দৌঁড়ে পালিয়ে বেঁচে যাওয়া তিন আরোহী হলেন-শৈলকুপা উপজেলার দীঘল গ্রামের শিহাব উদ্দিন, পিড়াগাতী গ্রামের জাহিদ বিশ্বাস ও আবদুর রহমান। তারা সবাই নিহত সাখাওয়াত হোসেনের পরিচিত। জাহিদ বিশ্বাস বলেন, তারা তিনজন অটোরিকশায় বসে ছিলেন। সাখাওয়াত অটোরিকশাটি চালাচ্ছিলেন। জয় বাংলা ব্রিজের কাছে পৌঁছুলে দুর্বৃত্তদের হাতে ধারালো অস্ত্র দেখে সাখাওয়াত অটোরিকশা ঘোরাতে গেলে অটোরিকশাটি রাস্তার পাশে পড়ে যায়। ভয়ে তারা তিনজন দৌঁড়ে পালান। সাখাওয়াত দৌঁড়াতে ব্যর্থ হওয়ায় দুর্বৃত্তরা তাকে কুপিয়ে হত্যা করে।

প্রত্যক্ষদর্শী, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাখাওয়াত হোসেন নিয়মিত ঝিনাইদহ শহরে অটোরিকশা চালাতেন। সংসারে তার স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলে সন্তান আছে। প্রতিদিনের মতো রোববার তিনি অটোরিকশা নিয়ে ঝিনাইদহ শহরে যান। সারাদিন অটোরিকশা চালিয়ে রাতে উপজেলার চাপড়ী গ্রামে এসে কয়েকজন একসঙ্গে তাস খেলতে বসেন। এরপর ভোর ৪টার দিকে অটোরিকশায় পরিচিত তিনজনকে নিয়ে দীঘল গ্রামের বাড়ি ফিরছিলেন। চাপড়ী গ্রামের জয় বাংলা ব্রিজের কাছে পৌঁছুলে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা কয়েকজন দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে অটোরিকশার সামনে দাঁড়ায়। এ সময় অটোরিকশার তিন আরোহী পালিয়ে গেলেও সাখাওয়াত যেতে পারেননি। অটোরিকশা ছিনিয়ে নিতে ছিনতাইকারীরা সাখাওয়াতকে ছুরিকাঘাত করে। তার চিৎকারে গ্রামের লোকজন এগিয়ে এলে ছিনতাইকারীরা পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে অটোরিকশা ও ছিনতাইকারীদের ফেলে রাখা একটি মোবাইলফোন জব্দ করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় অটোরিকশা থেকে পালিয়ে যাওয়া তিনযাত্রী শিহাব উদ্দিন, জাহিদ বিশ্বাস ও আবদুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ সোহেল রানা বলেন, অটোরিকশাটি ছিনতাই করার জন্য এ হত্যাকা- হতে পারে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More