স্টাফ রিপোর্র্টার: বিএনপির ভাইস চোরম্যান শামসুজ্জামান দুদু নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, সংগ্রাম এখনো শেষ হয়নি। নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বিএনপিকে রাষ্ট্রক্ষমতায় নেয়া হচ্ছে আল্টিমেট গোল। এই গোল দেয়ার পরে দেশে ৩১ দফা বাস্তবায়ন করতে হবে। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছিলেন, বিদেশে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছিলেন। দেশনেত্রী খালেদা জিয়া কৃষি শিল্প শিক্ষা অতুলনীয় ভূমিকা পালন করেছিলেন। তেমনি বিএনপিকে ক্ষমতায় এনে ৩১ দফার মধ্য দিয়ে দেশকে আরো উন্নত করতে হবে সমৃদ্ধশালী করতে হবে। গতকাল মঙ্গলবার কুড়িগ্রাম আলমাস কমিউনিটি সেন্টারে বিএনপি কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ বিষয়ক কমিটির উদ্যোগে ‘রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রূপরেখার ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি’ শীর্ষক এক কর্মশালায় উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দুদু বলেন, আমাদের নেতা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দীর্ঘদিন ধরে দেশ ছাড়া। ওনাকে বিদেশে থাকতে বাধ্য করা হয়েছে। ওয়ান ইলেভেনের সময় কিছু কুচক্রী মহল মেরে ফেলার জন্য চক্রান্ত করেছে। তিনি বাংলাদেশকে পুনর্গঠনের জন্য ৩১ দফা কারিগর হিসেবে ভূমিকা পালন করছেন। এই ৩১ দফায় কৃষকের কথা, যারা খেটে খায় দেশ নির্মাণ করে তাদের বিস্তারিত কথা এই ৩১ দফায় আপনি। কেমন বাংলাদেশ চায় বিএনপি, শুধু বিএনপি নয় এ ৩১ দফা দেশের গণতন্ত্রকামি দলগুলো মিলে করেছে। দেশের গণতন্ত্রকামি দলগুলোর সাথে তারেক রহমান বহুবার বসেছেন এবং এই ৩১ দফা নির্মাণ করেছেন। বাংলাদেশ কেমন হবে। দেশের শিক্ষা, শিল্প, প্রশাসন গণতন্ত্র কিভাবে মজবুত করা যায় তার বিস্তারিত আছে। তিনি বলেন, আজ দেশের অনেকেই বলছে শেখ হাসিনার বিচারের আগে জাতীয় নির্বাচন হবে না। তার বিচারের কথা বিএনপি অনেক আগে থেকে বলে আসছে। যে স্বৈরাচারকে বিদায় করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। যারা দেশের গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। যারা স্বাধীনতাকে বিপন্ন করেছে তাদেরকে ঠেকাতে চেয়েছে বিএনপি ছাত্রদল যুবদল এবং অঙ্গ সংগঠন। নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, যে যেখানে আছেন দায়িত্ব সবার সমান। সংগ্রাম এখনো শেষ হয়নি। নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বিএনপিকে রাষ্ট্রক্ষমতায় নেয়া হচ্ছে আল্টিমেট গোল। এই গোল দেয়ার পরে দেশে ৩১ দফা বাস্তবায়ন করতে হবে। যেমন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছিলেন। বিদেশে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছিলেন। দেশনেত্রী খালেদা জিয়া কৃষি শিল্প শিক্ষায় অতুলনীয় ভূমিকা পালন করেছিলেন। তেমনি বিএনপিকে ক্ষমতায় এনে ৩১ দফার মধ্য দিয়ে দেশকে আরো উন্নত করতে হবে সমৃদ্ধশালী করতে হবে। কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, তারেক রহমানের রাজনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মাহাদী আমিন, বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী রওণকুল ইসলাম শ্রাবণ, আকরামুল হাসান, কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মুস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, সদস্য সচিব আলহাজ সোহেল হোসনাইন কায়কোবাদসহ জেলা উপজেলা পৌর বিএনপিসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.