স্টাফ রিপোর্টার: অর্থ আর প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা গেলে ৩০০ আসনেই ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমাদের টাকা দেন, তাহলে ৩০০ আসনেই ইভিএমে ভোট করব। এছাড়া প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা যদি করতে পারেন, আমরা ৩০০ আসনেই করবো। রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের নিজ দফতরে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। সংলাপে রাজনৈতিক দলগুলোর ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের বিষয়ে দেওয়া মতামত রোডম্যাপে সঠিকভাবে ওঠে আসেনি, গণমাধ্যমের এমন প্রতিবেদন নিয়েও ব্যাখ্যা দেন সাবেক এই ইসি সচিব। মো. আলমগীর বলেন, দলগুলোর সঙ্গে যে সভা করেছি, তা আপনারা সরাসরি দেখেছেন। আমাদের কর্মকর্তারা এগুলো লিপিবদ্ধ করেছেন, ভিডিও ক্লিপ আছে। সেগুলো দেখে আমাদের লিখিতভাবে দিয়েছেন। তিনবার মিলিয়ে দেখা হয়েছে। আমরা দলগুলোর লিখিত বক্তব্য এবং ভিডিও ক্লিপের ভিত্তিতে ইভিএম নিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ইসি বলেন, অনেকেই পেপার ট্রেইল রাখার কথা বলেছেন, আমরা পরবর্তী সময়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গেও কথা বলেছি। তারা আমাদের বলেছেন এই মুহূর্তে এটা সংযোজন করা সম্ভব নয়। তাই এটা আমরা কিন্তু ইভিএমের বিপক্ষে সংশ্লিষ্ট দলের মতামত হিসেবে ধরে নিয়েছি। আলমগীর বলেন, আপনারাই তো বলেন যে, রাতে ভোট হয়, সকালে ভোট হয়, দুপুরে ভোট হয়, সেহরি খায়, ইফতারি খায়। আপনারা কি চান আবারো ব্যালটে ভোটের মাধ্যমে সেই সেহরি, ইফতারি খাক?’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভোটার তালিকার সঙ্গে ইভিএমেও ফটো দেখা যায়। কাজেই কারও আঙ্গুলের ছাপ না মিললেও একজনের ভোট অন্যজন দেওয়ার সুযোগ নেই। কারও আঙ্গুলের ছাপ না মিললে সেই ফটো মিলিয়ে দেখা হয়। ইসি বলেন, সব দিক থেকেই আমরা নিশ্চিত হয়েছি ইভিএমে কারচুপি করা যায় না। আর অনেকেই বলেছেন যদি কারচুপি করা না যায়, তবেই ইভিএম চায় তারা। কাজেই সেই হিসেবেই আমরা দেখেছি মোট ১৭টি দল ইভিএম চায়। মো. আলমগীর বলেন, যেখানে ইভিএম হয়েছে, সেখানেই কোনো মারামারি, রক্তপাত হয়নি, কোনো কারচুপি হয়নি এবং একটি নির্বাচন নিয়েও কোনো অভিযোগ আসেনি, চ্যালেঞ্জ করা হয়নি। তাই সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে আমরা ইভিএম নিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এটা আমাদের সিদ্ধান্ত- ১৫০ আসনে যদি নির্বিঘ্নে ভোট নিতে পারি, বাকি ১৫০ আসনে ব্যালটে হলে যেন প্রয়োজনীয় ফোর্স মোতায়েন করতে পারি, সেভাবেই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। অন্য এক প্রশ্নের জবাবে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমাদের টাকা দেন, তাহলে ৩০০ আসনেই ইভিএম করব। এছাড়া প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা যদি করতে পারেন, আমরা ৩০০ আসনেই করব। যেহেতু পত্রিকায় এসেছে, আমরা দেখব আমাদের কোনো ভুলত্রুটি আছে কি না। যদি ভুল থাকে আমরা সংশোধন করবো। ১৭০ জিবি রেকর্ড আছে আমাদের কাছে। অনেকেই লিখে নিয়ে এসেছেন বিপক্ষে, কিন্তু আলোচনা পর মাইন্ড চেঞ্জ করেছেন, আমরা তাদের পক্ষে রেখেছি। ইভিএম নিয়ে নতুন প্রকল্প নেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, কালকে (১৯ সেপ্টেম্বর) আমরা বসব। যদি দেখা যায় আমাদের পর্যবেক্ষণ ঠিক আছে, তবে ইভিএমের নতুন প্রকল্প অনুমোদন হবে।
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ