স্টাফ রিপোর্টার: সৌদি আরবে সোমবার জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় আগামী ৩১ জুলাই কোরবানির ঈদ উদযাপন হবে। ৩১ জুলাইয়ের আগের দিন পালিত হবে হজ, যদিও মহামারীর কারণে এবার মুসলমানদের এই ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা এবার পালন হবে সীমিত পরিসরে। সাধারণত সৌদি আরবের একদিন পর বাংলাদেশে ঈদ উদযাপন হয়ে থাকে। এদিকে, বাংলাদেশে কোরবানির ঈদ কবে হবে- সেই তারিখ নির্ধারণে আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সভায় বসবে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি।
সোমবার ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নূরুল ইসলাম ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে এই সভায় সভাপতিত্ব করবেন। আজ মঙ্গলবার জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেলে বুধবার থেকে জিলহজ মাস গণনা শুরু হবে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশে ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে আগামী ৩১ জুলাই। আর চাঁদ দেখা না গেলে বুধবার জিলকদ মাসের ৩০ দিন পূর্ণ হবে। সেক্ষেত্রে আগামী বৃহস্পতিবার থেকে জিলহজ মাস গণনা শুরু হবে, দেশে ঈদ হবে ১ আগস্ট।
জিলহজ মাসের ১০ তারিখে বিশ্বের মুসলমানরা তাদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব কোরবানির ঈদ পালন করেন। এই উৎসবে পশু কোরবানি দেয়া হয়, যার মধ্য দিয়ে নিজের ভেতরের কলুষতাকে বর্জন এবং সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টি লাভই ইসলামের শিক্ষা। গত রোজার ঈদের মত এবারের কোরবানির ঈদও হচ্ছে করোনাভাইরাসের মহামারীর মধ্যে। ফলে ঈদের নামাজ থেকে শুরু করে সব ক্ষেত্রেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কড়াকড়ি থাকছে। ধর্ম মন্ত্রণালয় আগেই জানিয়েছে, ভাইরাসের বিস্তার রোধে রোজার মতো কোরবানির ঈদের জামাতও এবার মসজিদের পড়তে হবে। সেক্ষেত্রেও নামাজ পড়তে হবে দূরত্ব বজায় রেখে, করা যাবে না কোলাকুলি।
অন্যবার সৌদি আরবে কোরবানির ঈদের আগের দিন আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করেন হজের মূল আনুষ্ঠানিকতার জন্য। বিশ্বের লাখ লাখ মুসলমান হজে অংশ নেন। কিন্তু এবার মহামারীর কারণে বিদেশ থেকে কাউকে সৌদি আরবে যেতে দেয়া হচ্ছে না। সেখানে যারা অবস্থান করছেন, তাদের নিয়েই সীমিত পরিসরে হজ হবে। সৌদি আরবের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা সৌদি প্রেস এজেন্সি (এসপিএ) সোমবার জানিয়েছে, এদিন আকাশে কোথাও চাঁদ দেখা যায়নি বলে শীর্ষ ধর্মীয় কাউন্সিল সিদ্ধান্ত দিয়েছে, মঙ্গলবার হবে জিলকদ মাসের শেষ দিন। বুধবার থেকে শুরু হবে জিলহজ মাস।
এদিকে, বাংলাদেশের আকাশে কোথাও জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেলে তা ৯৫৫৯৪৯৩, ৯৫৫৫৯৪৭, ৯৫৫৬৪০৭ ও ৯৫৫৮৩৩৭ নম্বরে ফোন করে অথবা ৯৫৬৩৩৯৭ ও ৯৫৫৫৯৫১ নম্বরে ফ্যাক্স করে কিংবা সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসক (ডিসি) বা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে (ইউএনও) জানাতে অনুরোধ করেছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।
পরবর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ