স্টাফ রিপোর্টার: বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে একদল ডাকাত সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে স্বামী সন্তানকে বেঁধে রেখে এক গৃহবধূকে (৩৮) দলবদ্ধ ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ সময় তারা নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, ফোনসেট ও অন্য মালামাল লুট করেছে। বুধবার রাতে ভুক্তভোগী গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে মোরেলগঞ্জ থানায় অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন ও ডাকাতির অভিযোগে মামলা করেছেন। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাতে জেলার মোরেলগঞ্জ উপজেলার রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী গৃহবধূকে উদ্ধার করে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছে পুলিশ। তবে এ ঘটনায় জড়িত কাউকে এখনো গ্রেপ্তার করা হয়নি বলে জানিয়েছেন বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) মো. আসাদুজ্জামান।
বাগেরহাট সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আদনান হোসেন বলেন, ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এমন গৃহবধূকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন পুলিশ। আমরা তাকে প্রসূতি ওয়ার্ডে ভর্তি করেছি। ডাক্তারি পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে। রিপোর্ট পেলে ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।
গৃহবধূর স্বামীর অভিযোগ, মঙ্গলবার রাতের খাবার খেয়ে তিনি তার স্ত্রী ও একমাত্র ছেলেকে নিয়ে ঘুমাতে যান। গভীর রাতে একদল ডাকাত সিঁধ কেটে ঘরের ভেতরে ঢোকে। তারা তাকে এবং তার কলেজপড়ুয়া ছেলেকে ধারালো অস্ত্রের মুখে জিম্মি করেন এবং দড়ি দিয়ে হাত পা বেঁধে ফেলেন। পরে তারা তার স্ত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন।
‘তারা চলে যাওয়ার সময় ঘরে থাকা নগদ পাঁচ হাজার টাকা, বেশ কিছু স্বর্ণের গয়না, ফোনসেট ও মালামাল লুট করে নিয়ে গেছেন। তারা সংখ্যায় চারজনের বেশি ছিল।’
পরিবারের বরাতে বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) মো. আসাদুজ্জামান রাতে দেশ রূপান্তরকে বলেন, প্রাথমিকভাবে ওই বাড়িতে ধর্ষণ ও ডাকাতির ঘটনার সত্যতা মিলেছে। ভুক্তভোগী গৃহবধূকে উদ্ধার করে তার চিকিৎসা ও মেডিকেল পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে।
এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন ও ডাকাতির অভিযোগে মামলা হয়েছে। জড়িতদের ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।