সরকারি চালের দরে খুশি কুষ্টিয়ার ব্যবসায়ীরা

চলতি মরসুমে ৪০ টাকা কেজি দরে চাল কিনবে সরকার

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: চলতি বোরো মরসুমে সরকারিভাবে ৪০ টাকা কেজি দরে সেদ্ধ চাল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ দর পেয়ে খুশি দেশের অন্যতম বৃহত্তম চালের মোকাম কুষ্টিয়া খাজানগরের চাল ব্যবসায়ীরা। গতকাল সোমবার বেলা ১১টার দিকে এক ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার সরকারি দরের বিষয়টি জানান। এসময় মন্ত্রী বলেন, এ বছর বোরো মরসুমে দেশে ১০ লাখ মেট্রিকটন সেদ্ধ চাল সংগ্রহ করা হবে। প্রতি কেজি চাল ৪০ টাকায় কেনা হবে। আগামী ৭ মে থেকে চাল সংগ্রহ শুরু হবে। সংগ্রহ শেষ হবে আগামী ৩১ আগস্ট। গত বোরো মরসুমে ৩৭ টাকা দর ছিলো। এবার কেজিপ্রতি তিন টাকা বেশি দরে কেনা হবে। এ সম্পর্কে বাংলাদেশ অটো মেজর অ্যান্ড হাসকিং মিল মালিক সমিতি কুষ্টিয়া শাখার জয়নাল আবেদীন প্রধান বলেন, ‘সরকারি দরে আমরা খুশি। কেননা, এর আগে ব্যবসায়ীরা লোকসানে চাল সরকারকে দিয়েছিলো। এবার সেটা পুষিয়ে নিতে পারবে।’ জয়নাল আবেদীনের দাবি, সরকার যেন দ্রুত সময়ে মধ্যে চাল সংগ্রহ করে নেয়। কেননা, চিঠি চালাচালি করতে সময় লেগে যায়। এতে চালের দাম বাজারে বেড়ে গেলে তখন সরকারকে দিতে সমস্যার সৃষ্টি হয়।

এদিকে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্র জানায়, গত বোরো ও আমন মরসুমে জেলার অধিকাংশ মিলমালিক সরকারকে চাল দিতে চুক্তির বাইরে ছিলেন। আবার অনেকে চুক্তি করেও চুক্তির চেয়ে কম চাল সরবরাহ করেছেন। যারা লাইসেন্স থাকা সত্ত্বেও চুক্তি করেনি, তাদের কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছিলো। তারা এই বোরো মরসুমে চাল দিতে পারবে কি না, সেটা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ পেলে বলা যাবে। আর চুক্তি করে চাল সরবরাহ করেছিলেন, এমন কয়েকজন আছেন, যাদের বিশেষ সুবিধাও দেয়া হতে পারে।

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক এসএম তাহসিনুল হক বলেন, ‘বোরো মরসুমের চাল সংগ্রহের দর শুনেছি। তবে জেলাভিত্তিক বরাদ্দের এখনো চিঠি আসেনি। এক-দু’দিনের মধ্যে হয়তো চিঠি চলে আসবে। অনেক মিলমালিক চাল দেয়ার জন্য আগ্রহ দেখাচ্ছে। তবে যারা কালো তালিকাভুক্ত আছে, তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত মোতাবেক কাজ করা হবে। অনেক মিলমালিক বাদও পড়তে পারেন।’

 

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More