সব রেকর্ড ভেঙে একদিনে করোনা আক্রান্ত ২৫৮ জনের মৃত্যু
স্টাফ রিপোর্টার: দেশে বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসে দৈনিক মৃত্যুতে অতীতের সব বেদনাদায়ক রেকর্ড ভেঙে গেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২৫৮ জন। যা গত দেড় বছরে দেশে করোনা মহামারীকালে একদিনে সর্বোচ্চ মৃতের সংখ্যা। এর আগে একদিনে করোনায় এতো মানুষের মৃত্যু দেখেনি বাংলাদেশের মানুষ। গত সোমবার ২৪৭ জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদফতর। গতকাল পর্যন্ত এটাই ছিল সর্বোচ্চ। গত ২৪ ঘণ্টায় ২৫৮ জনকে নিয়ে দেশে সরকারি হিসাবে এখন পর্যন্ত মারা গেলেন ১৯ হাজার ৭৭৯ জন। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনা বিষয়ক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায় গত কয়েকদিন থেকে দেশে করোনায় নারী মৃত্যু সংখ্যা বাড়ছে। ২০২০ সালের শুরু থেকে দেশে করোনায় মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষের সংখ্যা বেশি। কিন্তু গত কয়েক মাস থেকে পুরুষের পাশাপাশি নারীদের মৃত্যু বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ২৫৮ জনের মধ্যে পুরুষ ১৩৮ জন, আর নারী ১২০ জন। অথচ কয়েক মাস আগেও করোনায় মৃতদের মধ্যে এক পঞ্চমাংশ নারী ছিল না।
এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১৪ হাজার ৯২৫ জন। তাদের নিয়ে দেশে সরকারি হিসাবে শনাক্ত হলেন ১১ লাখ ৯৪ হাজার ৭৫২ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১২ হাজার ৪৩৯ জন। এদের নিয়ে দেশে করোনা থেকে মোট সুস্থ হলেন ১০ লাখ ২২ হাজার ৪১৪ জন। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ২৫৮ জনের মধ্যে পুরুষ ১৩৮ জন, আর নারী ১২০ জন। দেশে এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়ে পুরুষ মারা গেছেন ১৩ হাজার ৪৭৮ জন এবং নারী ৬ হাজার ৩০১ জন।
একদিনে মারা যাওয়াদের মধ্যে ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে আছেন ২ জন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে ১৭ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ৫০ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ৭৮ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৫৪ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৩১ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ১৬ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ৮ জন এবং ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ২ জন। স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, মারা যাওয়া ২৫৮ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ৮৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ৬১ জন, রাজশাহী বিভাগের ২১ জন, খুলনা বিভাগের ৫০ জন, বরিশাল বিভাগের ১৩ জন, রংপুর বিভাগে ১১ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ১১ জন, সিলেট বিভাগের ৭ জন। এদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ২০২ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ৩৯ জন এবং বাড়িতে ১৫ জন। হাসপাতালে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছে ২ জনকে।