স্টাফ রিপোর্টার: স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘৫-১২ বছর বয়সী শিশুদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি ফাইজারের করোনা টিকা আগামী জুন মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে দেয়া শুরু হবে।’ গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় মানিকগঞ্জে এক ইফতার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যের সময় মন্ত্রী এ কথা জানান। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ব্যক্তিগত উদ্যোগে এ ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আগামী জুনের মধ্যে ৫ থেকে ১২ বছরের শিশুদের টিকা দেয়ার ব্যবস্থা করেছি। এ টিকার আওতায় প্রায় দুই কোটি শিশু আসবে। এ টিকা বিশেষ ধরনের (ফাইজার) টিকা, শিশুদের জন্য তৈরি করা হয়েছে। দুই কোটি টিকার চাহিদা আমরা পাঠিয়েছি। আমরা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন পেয়েছি।
তিনি বলেন, ৩০ লাখ টিকা ইতোমধ্যে এসেছে। অভিভাবকদের বলবো, ৫ থেকে ১২ বছরের শিশুদের জন্ম নিবন্ধন করে টিকার রেজিস্ট্রেশন করবেন; যাতে টিকা নিতে কোনো সমস্যা না হয়।
জাহিদ মালেক বলেন, দেশের প্রায় ৭৫ ভাগ জনগণকে টিকা দেয়া হয়েছে। টার্গেটের নির্দিষ্ট জনগণের ৯৫ ভাগ লোককে টিকা দেয়া হয়েছে। টিকা দেয়ার সফলতার জন্য প্রধানমন্ত্রী ‘ভ্যাকসিন হিরো’ হয়েছেন, এবার ‘ভ্যাকসিন চ্যাম্পিয়ন’ ঘোষণা করা হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এখনো করোনা আছে, তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। মাস্ক পড়তে হবে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। করোনা নিয়ন্ত্রণে আছে বলেই আমরা কাজকর্ম চালিয়ে যেতে পারছি।’
করোনার চর্তুথ ঢেউ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশে অধিকাংশ মানুষ টিকা নিয়েছেন, তাই চতুর্থ ঢেউ আমাদের দেশে সেভাবে আসবে না।’
তিনি বলেন, আমরা ইতোমধ্যে প্রায় ২৫ কোটি ডোজ টিকা দিয়েছি। আমরা এখন বুস্টার ডোজ দিচ্ছি। যারা বুস্টার ডোজ নেননি, তারা দ্রুত নিয়ে নেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মহীউদ্দীন, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম, পৌর মেয়র রমজান আলী, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল মজিদ, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইসরাফিল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আফসার উদ্দিন সরকারসহ দলীয় নেতাকর্মীরা।