স্টাফ রিপোর্টার: প্রস্তুতি সম্পন্ন না হওয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাধারণ ছুটি আরেক দফা বাড়ানো হয়েছে। ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সব ধরনের স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এবং মাদরাসা বন্ধ থাকবে। শর্তপূরণ সাপেক্ষে শুধু চলবে কওমি মাদরাসাগুলো। বসন্তের আবির্ভাবে ও শীতের বিদায়ের পর অবশ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার ভাবনা আছে। এর মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পরিচালনা এবং খোলার পর শিক্ষার্থীদের প্রতিষ্ঠানিক পাঠদানের রুটিন তৈরিসহ আনুষঙ্গিক প্রস্তুতি শেষ করা হবে। বিশেষ করে সপ্তাহে প্রায় প্রতিদিন আসতে হবে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের। তাদের জন্য বিশেষায়িত সিলেবাস প্রস্তুতির কাজ এরই মধ্যে শেষ করা হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
বাংলাদেশে ৮ মার্চ ২০২০ প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এ কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ আছে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় ধাপে ধাপে বাড়ছে ছুটি। সর্বশেষ ধাপের ছুটি আজ শনিবার শেষ হওয়ার কথা ছিলো। এর আগে শুক্রবার শিক্ষা মন্ত্রণালয় ছুটি বাড়ানোর ঘোষণা দিলো। এর ফলে টানা ১১ মাস বন্ধই থাকছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এমএ খায়ের স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছুটি বাড়ানোর সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জনসংযোগ কর্মকর্তা রবীন্দ্রনাথ রায় জানান, ছুটিকালে শিক্ষার্থীরা নিজেদের এবং অন্যদের করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সুরক্ষার লক্ষ্যে নিজ নিজ বাসস্থানে অবস্থান করবে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ সময়ে সময়ে জারিকৃত নির্দেশনা ও অনুশাসনগুলো শিক্ষার্থীদের মেনে চলতে হবে। শিক্ষার্থীদের বাসস্থানে অবস্থানের বিষয়টি অভিভাবকরা নিশ্চিত করবেন। স্থানীয় প্রশাসন তা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবে। সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তাদের নিজ নিজ শিক্ষার্থীরা যাতে বাসস্থানে অবস্থান করে ও নিজ পাঠ্যবই অধ্যয়ন করে সে বিষয়টি অভিভাবকদের মাধ্যমে নিশ্চিত করবেন। ছুটি চলাকালে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম চলমান থাকবে।