স্টাফ রিপোর্টার: ইঞ্জিনের ত্রুটি থেকেই অগ্নিকা-ের সূত্রপাত ঘটে অভিযান-১০ লঞ্চে। নৌপরিবহণ অধিদপ্তরের অনুমোদন ছাড়াই লঞ্চটিতে দুটি ইঞ্জিন বসানো হয়। ওই ইঞ্জিন দুটি ২৪ বছরের পুরোনো এবং লঞ্চের তুলনায় অনেক বেশি শক্তিশালী (বেশি হর্স পাওয়ারসম্পন্ন)। এগুলো দীর্ঘদিন অব্যবহৃত থাকাবস্থায় লঞ্চটিতে সংযোজন করা হয়। এছাড়া ইঞ্জিনে বিভিন্ন ধরনের ত্রুটি ছিলো। ত্রুটির কারণে ইঞ্জিন থেকে অতিরিক্ত তাপ বেরিয়ে লঞ্চটির পাটাতন চলন্ত অবস্থায় গরম হয়ে যায়। কেরানীগঞ্জের যে ডকইয়ার্ডে এ লঞ্চটিতে ইঞ্জিন বসানো হয়, সেটির লাইসেন্স মেয়াদোত্তীর্ণ ছিলো। আর আগুনের ভয়াবহতা ও প্রাণহানি বেড়েছে লঞ্চের পরিচালনায় থাকা শ্রমিকদের গাফিলতির কারণে। এছাড়া তিন মাস ধরে বসে থাকা লঞ্চটি কোনো পরীক্ষা ছাড়াই চলতে দিয়েছেন নৌপরিবহণ অধিদপ্তরের সার্ভেয়ার ও ইনস্পেকটর। লঞ্চটির কোনো বিমা ছিল না। এসব ত্রুটির কথা উল্লেখ করে সোমবার রাতে অভিযান-১০ লঞ্চের প্রতিবেদন চূড়ান্ত করেছে নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি।
প্রতিবেদনে লঞ্চের চারজন মালিক, দুইজন ইনচার্জ মাস্টার (চালক), সুকানি (চালকের সহকারী), দুইজন ড্রাইভার (ইঞ্জিন পরিচালনাকারী) ও লঞ্চের গ্রিজারকে (ড্রাইভারের সহকারী) সরাসরি দায়ী করা হয়েছে। এছাড়া নৌপরিবহণ অধিদপ্তরের সদরঘাটের সার্ভেয়ার ও ইনস্পেকটর এবং ডকইয়ার্ডের মালিককেও বিভিন্ন বিধিবিধান লঙ্ঘনের জন্য দায়ী করা হয়েছে। এ ঘটনায় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) কাউকে দায়ী করা হয়নি। প্রতিবেদনে লঞ্চের রোটেশন প্রথা বাতিল, টিকিট কেটে যাত্রী তোলাসহ বেশকিছু সুপারিশ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো এসব তথ্য জানিয়েছে।