স্টাফ রিপোর্টার: চলমান বিধিনিষেধের মেয়াদ আরও ৭দিন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ বিধিনিষেধের সময়ে দোকানপাট ও শপিংমল খোলা থাকবে। গতকাল সোমবার বিকেলে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান। তিনি বলেন, দোকান-শপিংমল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত বহাল রেখেই বিধি নিষেধের সময় বাড়ানো হয়েছে। এখন থেকে দোকানপাট সকাল ১০ থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে। অন্যান্য ক্ষেত্রে চলমান বিধিনিষেধ বহাল থাকবে।
করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় ৫ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত সীমিত বিধিনিষেধ দেয়া হলেও তা খুব একটা কার্যকর হয়নি। পরে ১৪ এপ্রিল থেকে শুরু হয় এক সপ্তাহের কঠোর বিধিনিষেধ। এরইমধ্যে ১৮ এপ্রিল রাতে এক বৈঠকে চলমান বিধিনিষেধ ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়। সেই বিধি নিষেধ আরও এক সপ্তাহে বাড়িয়ে ৫ মে পর্যন্ত কার্যকর হবে। প্রতিমন্ত্রী সোমবার বলেন, ‘বৈশ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এবং জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে কোভিড-১৯ বিস্তার রোধে চলমান বিধিনিষেধ আরো এক সপ্তাহ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’ আজ মঙ্গলবার এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন হতে পারে জানিয়ে ফরহাদ হোসেন বলেন, এর আগে যে বিধিনিষেধগুলো ছিলো, সেগুলো এখনও কার্যকর হবে। তবে এ সময় দোকানপাট ও শপিংমল সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চালু থাকবে। করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি রোধে কঠোর বিধিনিষেধের দ্বিতীয় ধাপে ১৪ এপ্রিল থেকে দেশে জরুরি কাজ ছাড়া ঘরের বাইরে বের হওয়ার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়, যা ‘সর্বাত্মক’ লকডাউন নামে পরিচিতি পায়। পরে এর মেয়াদ এক সপ্তাহ বাড়ানো হয়। শুরুতে লকডাউনে শপিংমলসহ অন্যান্য দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশনা থাকলেও ‘জীবন-জীবিকার কথা বিবেচনা করে’ গত রোববার থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকান ও শপিংমল খোলার অনুমতি দেয়া হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের গত শুক্রবারের প্রজ্ঞাপনে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত দোকান ও শপিংমল খোলা রাখার নির্দেশনা থাকলেও ঢাকা মহানগর পুলিশ রোববার বলেছে, ঈদের আগে রাত ৯টা পর্যন্ত দোকান-শপিংমল খোলা রাখা যাবে বলে তাদের জানানো হয়েছে। লকডাউনের মধ্যে সব ধরনের অফিস ও পরিবহন বন্ধের পাশাপাশি বাজার-মার্কেট, হোটেল-রেস্তোরাঁসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ রয়েছে। তবে উৎপাদনমুখী শিল্প কারখানায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ চালানোর অনুমতি দেয়া হয়েছে। লকডাউনের মধ্যে ব্যাংকে লেনদেন করা যাচ্ছে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত। সতর্কতার অংশ হিসেবে সীমিত জনবল দিয়ে বিভিন্ন শাখা চালু রেখেছে ব্যাংকগুলো।
পূর্ববর্তী পোস্ট
পরবর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ