স্টাফ রিপোর্টার: র্যাব এবং এর সাবেক-বর্তমান কর্মকর্তাদের ওপর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে দেশটিতে আইনজীবী নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরুর কথা জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সোমবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত এ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ তথ্য জানানো হয়। বৈঠকের কার্যপত্রে বলা হয়, বিষয়টি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের দূতাবাস গুরুত্বের সঙ্গে কাজ করছে।
কমিটির সভাপতি কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান এতে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠক শেষে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সে বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি। আমরা বলেছি সেখানে আমাদের দূতাবাস আগে থেকে কেন জানতে পারেনি? তারা তাদের মতো ব্যাখ্যা দিয়েছে। বলছে করোনাভাইরাসের কারণে গ্যাপ তৈরি হয়েছিল। সভাপতি বলেন, সংসদীয় কমিটি এ বিষয়ে লবিস্ট নিয়োগের পরামর্শ দিয়েছিল। মন্ত্রণালয় সেটা নিয়ে কাজ করছে। এর বাইরে পিআর ফার্ম, আইনজীবী নিয়োগের কথাও বলেছে। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে বলেছি যা যা করার করুক। দরকার হয়ে বাজেট বাড়িয়ে নিক। ফান্ড লাগলে বলুক। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নে যে জায়গায় আছে, সেখানে এ ধরনের অনেক কথাবার্তা আসবে।
বৈঠকে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক নিয়েও আলোচনা হয়। যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশে নিযুক্ত বাংলাদেশের মিশনগুলোকে আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনে তৎপর থাকার জন্য বলা হয়। এ ছাড়াও যুুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের কয়েকজন র্যাব কর্মকর্তার মতো অন্য দেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে কিনা, বাংলাদেশের বিপরীতে অন্য কোনো দেশের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে কিনা তা আগামী বৈঠকে বিস্তারিতভাবে উপস্থাপনের সুপারিশ করা হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ-মালদ্বীপ বাণিজ্য বাড়াতে দুই দেশের মধ্যে দ্রুত ও সরাসরি নৌযোগাযোগ স্থাপনের সুপারিশ করে সংসদীয় কমিটি। এ ছাড়াও বহির্বিশ্বে ডাক্তার-নার্সসহ মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে এ চাহিদা পূরণে যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ এবং আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কোরে আসন সংখ্যা বাড়ানোর জন্য সুপারিশ করা হয়।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষ্যে গত ১০ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্র ‘গুরুতর’ মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র্যারবের সাবেক মহাপরিচালক ও বর্তমান পুলিশপ্রধান বেনজীর আহমেদসহ বাহিনীর সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রতিক্রিয়ায় ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলারকে তলব করে সরকারের অবস্থান জানায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠিও দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, নুরুল ইসলাম নাহিদ, মো. আব্দুল মজিদ খান, মো. হাবিবে মিল্লাত ও নাহিম রাজ্জাক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
পরবর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ