স্টাফ রিপোর্টার: আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যারা দেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গিয়েছিল, যাদের হাতে রক্তের দাগ, তারা রাষ্ট্রকে মেরামত করবে, এটা হাস্যকর। তিনি বলেন, যে রাষ্ট্র বিশ্বের বিস্ময়। ১৪ বছর আগের বাংলাদেশ, আর আজকের বাংলাদেশে উন্নয়ন-অর্জনের যে দৃশ্যপট, এই বাংলাদেশকে চেনাই যায় না। অথচ এই রাষ্ট্রকে তারা (বিএনপি) ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গিয়েছিল। গতকাল আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় কাউন্সিল উপলক্ষে গঠিত খাদ্য উপ-কমিটির প্রস্তুতিসভায় তিনি এসব কথা বলেন। প্রস্তুতি সভায় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানম-িস্থ রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। সোমবার বিএনপি’র পক্ষ থেকে ‘রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রূপরেখা’ শিরোনামে ২৭ দফা উপস্থাপন করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ১৫ আগস্ট থেকে ৩রা নভেম্বর তারা খুনের রাজনীতি করে। ২১ আগস্ট পর্যন্ত আমাদের ২১ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে। তাদের হাতে তো রক্তের দাগ। কাজেই যারা ধ্বংস করে, তারা মেরামত করবে কীভাবে? এটা নতুন কিছু নয়, এটা তাদের স্ট্যান্টবাজি। এতে তাদের আন্দোলন জমবে না। মানুষ বিভ্রান্ত হবে না। তিনি বলেন, বাংলাদেশকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দৃৃঢ় পদক্ষেপে ডিজিটাল হিসেবে মেরামত করেছেন। এখন ২০৪০ সালে স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। বিএনপি রাষ্ট্রকে ধ্বংস ছাড়া কিছুই করেনি জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে। তারা ভোট চুরি করেছে। নির্বাচনে জালিয়াতি করেছে। দলীয় লোক দিয়ে আজিজ মার্কা নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে। ইয়েস-নো ভোট দিয়ে কী প্রহসন করেছে তা সবাই জানেন। তাদের এমন জালিয়াতি নতুন কিছু না। সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, বিএনপি মিথ্যাচারের হোতা। তাদের মুখে সত্যের বাণী আরেক আশ্চর্য। কারণ তারা তো মিথ্যাচার করে, মিথ্যাকে সত্য বানাতে চায়। এদেশের মানুষ এতো বোকা নয় যে, তাদের মিথ্যাচার বিশ্বাস করবে।
তিনি বলেন, বিএনপি’র নেতারা ক্ষমতার লোভে মাঠে নেমেছে। কিন্তু দেশের মানুষকে আজও নামাতে পারেনি। যদি বিএনপি ক্ষমতায় আসে, তাহলে ২৭ দফা বাস্তবায়ন করা হবে-বিএনপি’র এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, যদি ক্ষমতায় আসে, যদির কথা নদীতে ফেলে দেন। যদি আসেন, তাহলে হবে। না হয়, হবে না। আওয়ামী লীগের সব কর্মকা-ে স্মার্টনেস প্রদর্শন করতে হবে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, সম্মেলনে যেন কোনো প্রকার শৃঙ্খলাবিচ্যুতি না ঘটে, এগুলো নিয়ে পরে…পত্রপত্রিকা…আমাদের শত্রুপক্ষ, সমালোচনার লোকের অভাব নেই। সুশৃঙ্খল সম্মেলন করে আমরা প্রমাণ করতে চাই, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ যেকোনো প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবেলা এবং আগামী নির্বাচনের জন্য সুসংগঠিত এবং ঐক্যবদ্ধ। কারণ, এদেশের মানুষ মনে করে মুক্তিযুদ্ধের কা-ারি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সংকট থেকে সম্ভাবনায় রয়েছে। তিনি বাংলাদেশের রূপকার। আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য ও খাদ্য উপ-কমিটির আহ্বায়ক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, বীরবিক্রমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য এডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক ও এডভোকেট কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মীর্জা আজম ও এসএম কামাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়–য়া, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক জাহানারা বেগম, কার্যনির্বাহী সদস্য আনোয়ার হোসেন, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুল রহমান, দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু, সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু প্রমুখ।