রাজধানীর জিয়া উদ্যানে জিয়া পরিষদের ৩৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে শামসুজ্জামান দুদু

সামরিক ব্যক্তিত্ব হওয়ার পরও শহিদ জিয়া ছিলেন বাংলাদেশের গণতন্ত্রের রূপকার

স্টাফ রিপোর্টার: বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, বাংলাদেশে যদি সত্যিকারের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হয়, তাহলে শহিদ জিয়াকে অনুসরণ করতে হবে। গতকাল শনিবার রাজধানীর জিয়া উদ্যানে জিয়া পরিষদের ৩৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে স্বাধীনতার ঘোষক শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সমাধিতে দোয়া ও পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে তিনি এসব কথা বলেন। শামসুজ্জামান দুদু বলেন, শহিদ জিয়ার স্বাধীনতার ঘোষণা বাংলাদেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেয়া, বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে স্বাধীন দেশ হিসাবে গৌরবের সঙ্গে তুলে ধরা, এগুলো ছিল শহিদ জিয়ার অমর কীর্তি। তিনি বলেন, স্বাধীনতার ঘোষক শহিদ জিয়া বাংলাদেশের কৃষি ক্ষেত্রে আধুনিকতার স্বাক্ষর রেখেছিলেন। শিল্প ক্ষেত্রে এক ধরনের প্লাবন এনেছিলেন। তার হাত ধরে এদেশে গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠা পেয়েছিল। আজ যে রেমিটেন্স এর কথা বলি সেটাও এই মহান নেতার উদ্যোগ। তিনি যেখানে হাত দিয়েছেন সেখানেই সোনা ফলিয়েছেন। ব্যক্তি জীবনের দুর্নীতিবিরোধী যেমন ঠিক তেমনি সামরিক ব্যক্তিত্ব হওয়ার পরও শহিদ জিয়া ছিলেন বাংলাদেশের গণতন্ত্রের রূপকার। তার হাত ধরেই এদেশের দ্বিতীয় বারের মতো গণতন্ত্র এবং স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা পেয়েছিল। সেই নেতাকে আমাদের স্মরণ করতে হবে আমাদের নিজেদের কারণেই। বাংলাদেশে যদি সত্যিকারের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হয় তাহলে শহিদ জিয়াকে অনুস্মরণ করতে হবে বলেও জানান তিনি। সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, হাসিনার বিচার তিন, চার, ছয় মাসের মধ্যেই হতে পারতো। কিন্তু বিচারের নামে এখন যা হচ্ছে মানুষ ভুলতে বসেছে আদৌ বিচার হবে কি-না। তরুণরা বলেছে, বিচারের আগে নির্বাচন হবে না। বিচার তো মনে হয় হবে না। তাই বলে কি নির্বাচনও হবে না? ভালো খেলা শুরু করেছেন। বিচার প্রক্রিয়াধীন পরীক্ষা চলে, নির্বাচন চলে, সবকিছু চলে বিচার চলতে থাকে। তিনি আরও বলেন, যদি ভালো উদ্যোগী হন তাহলে এক বছরের বিচারকার্য তিন মাসে করতে পারবেন। সেইজন্যে নির্বাচনকে আড়াল করার জন্য যুক্তিতর্ক সামনে আনা ঠিক হবে না। আপনি সাধারণ মানুষের পেটে ভাত না দিতে পারেন; ভোটের অধিকারটা দিতে পারেন। শেখ হাসিনা তিন ট্রাম মানুষের ভোটের অধিকার দেয়নি। আপনারাতো সেই একই পথে হাঁটছেন। মানুষ ভোটের অধিকার চায়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জিয়া পরিষদের মহাসচিব প্রফেসর ড. মো. এমতাজ হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান ও শেরে বাংলা কৃষি বিশ্বিবদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. আবদুল লতিফ, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব আবদুল্লাহিল মাসুদ, ঢাকা মহানগর সভাপতি অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ, যুগ্ম মহাসচিব প্রকৌশলী রুহুল আলম, শফিকুল হাসান রতন, মুফতি আকতারুজ্জামান গিয়াস, কৃষিবিদ মনোয়ারুল ইসলাম এনাম, প্রকৌশলী শরীফুজ্জামান প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More