স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীর বিএনপির গণসমাবেশ থেকে ঢাকায় ফেরার পথে আমিন বাজার থেকে জাতীয়তাবাদী যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। এ সময় টুকুর সাথে থাকা যুবদলের সহসভাপতি নুরুল ইসলাম নয়ন, ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি জাভেদ হাসান স্বাধীন এবং টুকুর ব্যক্তিগত সহকারী মোখলেসুর রহমানকেও আটক করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শামসুদ্দিন দিদার। কেন্দ্রীয় নেতাদের আটকের ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবদলের সভাপতি শরিফ উর জামান সিজার।
এ বিষয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, সরকার আমাদের ১০ জানুয়ারি গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে উম্মাদ ও হিংস্র হয়ে গেছে। এ সরকারের অত্যাচার এবং অবিচার এমন পর্যায়ে চলে গেছে তা থেকে দেশবাসীকে মুক্ত করতে হলে প্রয়োজন একটি গণ-অভ্যুত্থান। রিজভী অবিলম্বে টুকুসহ গ্রেফতারকৃত নেতাদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন।
জানতে চাইলে গোয়েন্দা মিরপুর বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মানস কুমার পোদ্দার বলেন, ‘যুবদল সভাপতি টুকুকে আটক করেনি আমাদের টিম।’ আটকের বিষয়টি উড়িয়ে দিয়ে গোয়েন্দা গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) রিফাত শামীম বলেন, ‘এমন নামের কাউকে আটক করা হয়নি।’
এদিকে, চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবদলের সভাপতি শরিফ উর জামান সিজার এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, যুবদলের সহসভাপতি নুরুল ইসলাম নয়ন, ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি জাভেদ হাসান স্বাধীন এবং টুকুর ব্যক্তিগত সহকারী মোখলেসুর রহমানের আটকের ঘটনা তীব্র নিন্দা জানাই। একই সাথে আটককৃতদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি দাবি জানাচ্ছি।