স্টাফ রিপোর্টার: সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার স্থলচরে যমুনায় ৭৩ জন যাত্রী নিয়ে নৌকাডুবির ঘটনায় খাসকাউলিয়া আজিমুদ্দি মোড় ও ঘুসুরিয়া থেকে আরও ৫ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। এ নিয়ে ১০ জনের লাশ উদ্ধার হলো। এখনো ১০ জন নিখোঁজ রয়েছে। ৫৪ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। চৌহালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার দেওয়ান মওদুদ আহমেদ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার দুপুরে এনায়েতপুর ঘাট থেকে ইব্রাহিম মাঝির ইঞ্জিন চালিত একটি নৌকা চৌহালীতে যাবার পথে স্থলচর এলাকায় পৌছলে প্রচ- বাতাসের কবলে পড়ে। তখন ৭৩ জন যাত্রী নিয়ে নৌকাটি যমুনায় ডুবে যায়। স্থানীয়রা ৫৪ জনকে জীবিত ও ৫ জনের লাশ উদ্ধার করে। এর মধ্যে ৩ জনের লাশ স্থল চর, এক জনের জোতপাড়া ও আরেক জনের লাশ কুকুরিয়া এলাকা থেকে উদ্ধার করে। এরা হলো বেলকুচির গয়নাকান্দি গ্রামের মৃত জহির ফকিরের ছেলে পাষান ফকির (৬৫), কলাগাছির শামীম হোসেনের ছেলে নাইম হোসেন (৪), শাহজাদপুরের কৈজুরীর জয়পুরার আমজাদ হোসেন (৪৫) ও আজিজুল হক (৩৫)।
এদিকে বৃহস্পতিবার সকালে আজিমুদ্দি মোড় এলাকা থেকে ২ জন, স্থলচর ১ জন ও ঘুসুরিয়া ১ জনের লাশ নদীতে ভেসে উঠলে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় উদ্ধার করে পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে বাকি নিখোঁজ যাত্রীদেরও সলিল সমাধি হয়েছে।
এ ঘটনায় জীবিত উদ্ধার হওয়া যাত্রীরা জানিয়েছে, তারা শাহজাদপুর ও বেলকুচি উপজেলার শ্রমজীবী মানুষ। সবাই টাঙ্গাইলের করটিয়া ও মির্জাপুরে ধানকাটার জন্য যাচ্ছিলো। নৌকায় ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী তোলায় এই নৌকা ডুবির জন্যও অনেকটা দায়ী।
এছাড়া সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসক ড. ফারুক আহমেদ জানান, ঈদের পরে এমন ঘটনায় পুরো জেলাবাসী শোকাহত। নিহতের পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা করে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। আহতদের সহায়তা দেয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।