মেহেরপুর অফিস: মেহেরপুর জেলায় করোনা ভাইরাস সংক্রমণ বাড়ছে। বিশেষ করে সামাজিক সংক্রমণের ঘটনা বৃদ্ধি পাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। অপরদিকে বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। সদর উপজেলার কোলা গ্রামে ঢাকা ফেরত বাসশ্রমিক লিটু মিয়ার (৪৭) মৃত্যুর মধ্য দিয়ে মৃতের সংখ্যা এখন দুয়ে। আর মোট আক্রান্ত্রের সংখ্যা ২৫। গত ২২ এপ্রিল মুজিবনগর উপজেলার বল্লভপুর গ্রামে বসবাসকারী ব্র্যাকের যক্ষা প্রকল্পের এক কর্মকর্তা জেলার প্রথম ব্যক্তি হিসেবে কোভিড-১৯ পজিটিভ হন। ওই দিনই মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে বল্লভপুর গ্রামের ইদ্রিস আলী (৩৬) করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করেন। নমুনা পরীক্ষায় তার কোভিড-১৯ পজিটিভ হয়। চিকিৎসা ও দাফন কাফনে অংশ গ্রহণের সংস্পর্শে আসায় মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, ওসি (তদন্ত) এবং মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের ডাক্তার, নার্স ও আয়া ওয়ার্ডবয়সহ ২৮ জনকে কোয়ারিন্টিন করা হয়। এদের নমুনা সংগ্রহে শুধুমাত্র একজন নার্স এবং চিকিৎসকের এক সহকারী কোভিড-১৯ পজিটিভ হয়েছিলেন। বাকিরা আক্রান্ত হননি। তা ছিলো জেলার জন্য বড় সুখবর। কিন্তু গেলো সপ্তাহ থেকে জেলায় আক্রান্ত ব্যক্তি সংস্পর্শ থেকে সংক্রমিত হওয়ার ঘটনা বেড়ে যাওয়া অশনি সংকেত হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে আশার কথা হচ্ছে জেলায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে এ পর্যন্ত ৫জন সুস্থ হয়েছেন। বাকিদের প্রায় সকলেই হোম আইসোলেশনে সুস্থ রয়েছেন বলে জানায় স্বাস্থ্য বিভাগ। তবে আগামী দুই সপ্তাহ কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন সিভিল সার্জন।