ভারতে নির্যাতনের শিকার তরুণীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ

স্টাফ রিপোর্টার: ভারতে যৌন নির্যাতনের শিকার বাংলাদেশি তরুণীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। ভারতের বেঙ্গালুরু পুলিশ শুক্রবার মেয়েটিকে কেরালায় শনাক্ত করে এবং সেখান থেকে উদ্ধার করে বেঙ্গালুরুতে নিয়ে যায়। শনিবার ভারতের আসামভিত্তিক সংবাদমাধ্যম টাইমএইটের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সম্প্রতি কয়েকজন মিলে এক তরুণীকে বিবস্ত্র করে যৌন নির্যাতনের একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় ভারতে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। ভিডিওতে দেখা পাঁচ নির্যাতনকারীর ছবি প্রকাশ করে তাদের সন্ধান চেয়ে পুরস্কারের ঘোষণা দেয় আসাম পুলিশ। ভিডিওটি বেঙ্গালুরুর একটি মোবাইল থেকে ছড়িয়ে পড়েছে বলে নিশ্চিত হওয়ার পর তৎপর হয় সেখানকার পুলিশ। বৃহস্পতিবার বেঙ্গালুরু শহরের একটি ভাড়া বাসা থেকে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে বাংলাদেশের পুলিশ ভিডিওতে দেখা যাওয়া এক যুবককে শনাক্ত করে। তিনি ঢাকার মগবাজার এলাকার বাসিন্দা রিফাদুল ইসলাম হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয়। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে নির্যাতনের শিকার মেয়েটির পরিবারের সন্ধান পায় পুলিশ। বৃহস্পতিবার মেয়েটির বাবা ঢাকার হাতিরঝিল থানায় রিফাদুল ইসলাম হৃদয়সহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও চারজনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। অপরদিকে মেয়েটিকে নির্যাতনে জড়িত ছয়জনকে ধরার পর তাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের অভিযোগে মামলা করেছে বেঙ্গালুরু পুলিশ। তারা জানিয়েছে, শুক্রবার সকালে আসামিদের নিয়ে ঘটনাস্থলে দুজন পালানোর চেষ্টা করলে পুলিশ গুলি ছোঁড়ে। এ সময় রিফাদুল ইসলাম হৃদয় ও তার সহযোগী সাগর গুলিবিদ্ধ হন। রিফাদুল ইসলাম মধ্যপ্রাচ্যে পাঠানোর কথা বলে বছরখানেক আগে মেয়েটিকে ভারতে নিয়ে যান বলে তার বাবা জানিয়েছেন। এদিকে ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার মো. শহীদুল্লাহ বলেছেন, রিফাদুল আন্তর্জাতিক মানব পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত। টিকটক ভিডিও তৈরির ফাঁদে ফেলে মেয়েদের বিদেশে পাচার করে আসছিলেন তিনি। টাইমএইটের প্রতিবেদনে বলা হয়, মেয়েটিকে উদ্ধার করার পর বেঙ্গালুরুর বিয়াপ্পানাহালি থানায় নেওয়া হয়। পরে তাঁকে একটি হাসপাতালে মেডিকেল পরীক্ষা করানো হয়। আদালতে হাজির করে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে তাঁর জবানবন্দি নেওয়া হবে।

 

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More