ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে ইবিতে বিক্ষোভ

স্টাফ রিপোর্টার: সীমান্তে হত্যা ও ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল ও ছাত্রসমাবেশ করেছেন ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটায় ফেলানি হত্যা দিবস উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া মোড় থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এসময় শিক্ষার্থীরা ‘আজকের এই দিনে, ফেলানী তোমায় মনে পড়ে; ফেলানীর রক্ত, বৃথা যেতে দিবো না; দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা; আবু সাঈদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ; আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন; ভারতীয় আগ্রাসন, বন্ধ করো করতে হবে; দিয়েছিতো রক্ত, আরও দিবো রক্ত’ সহ বিভিন্ন স্লোগান দেয়। সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, ২০১১ সালে ভারতীয় বাহিনী ফেলানীকে হত্যা করে কাঁটাতারে ঝুলিয়ে রেখেছিল। আবরার ফাহাদ ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে জীবন দিয়েছে। ভারত এখনও সীমান্ত হত্যা বন্ধ করেনি। ভারত সবসময় প্রতিবেশীদের সঙ্গে আধিপত্যবাদী মনোভাব নিয়ে চলে। সেদিন ভারত ফেলানীর লাশ ঝুলিয়ে রাখেনি তারা বাংলাদেশের মানচিত্রকে কাঁটাতারে ঝুলিয়ে রেখেছিল। আমরা ফেলানী হত্যাসহ সকল সীমান্ত হত্যার বিচার চাই।
এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বায়ক এস এম সুইট বলেন, ‘২০১১ সালে কুড়িগ্রামে ভারত আমাদের বোন ফেলানীকে কাঁটাতারে ঝুলায়নি বরং পুরো বাংলাদেশকে ঝুলিয়ে রেখেছে। আওয়ামী সরকারের নতজানু পররাষ্ট্র নীতির কারণে এমনটি করার দুঃসাহস তারা দেখিয়েছে। কিন্তু জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের পর ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক হবে চোখে চোখ রেখে। অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আহ্বান থাকবে ভারতের সঙ্গে যেন ন্যায্যতার ভিত্তিতে সম্পর্ক তৈরি করে। আর অতিদ্রুত ফেলানি হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচার করতে হবে। আর সবসময় ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে কাঁধে কাঁধ রেখে কাজ করে যাবে।’বিগত দিনে ভারত আমাদের দেশে আধিপত্যবাদ বজায় রেখেছিল। ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক হবে পারস্পরিক ন্যায্যতার ভিত্তিতে। ভারত আমাদের সঙ্গে যেমন সম্পর্ক রাখবে আমরাও সেভাবে তাদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখব। বাংলাদেশে কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের আধিপত্যবাদ জনগণ মেনে নিবে না। আমরা বর্তমান সরকারের কাছে সকল সীমান্ত হত্যার বিচারের জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে কুড়িগ্রামের অনন্তপুর-দিনহাটা সীমান্তের খিতাবের কুঠি এলাকায় ৭ জানুয়ারি ২০১১ সালে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ-এর সদস্যরা ফেলানী খাতুন নামের এক কিশোরীকে গুলি করে হত্যা করে। বিএসএফ ১৮১ ব্যাটালিয়নের চৌধুরি হাট ক্যাম্পের জওয়ানদের এই ঘটনার জন্য দায়ী করা হয়। ফেলানীর লাশ পাঁচ ঘণ্টা কাঁটাতারে ঝুলে ছিল। বিএসএফ নিজস্ব আদালতে এ ঘটনার জন্য দায়ী সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।

 

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More