আলমডাঙ্গা ব্যুরো: দুই বিবাদমান আ.লীগ নেতা দুই ভাইয়ের পরষ্পর বিরোধী গ্রুপের রক্ষক্ষয়ী সংঘর্ষ ঘটেছে। এক পক্ষে ভাংবাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জেলা আ.লীগ নেতা কাউসার আহমেদ বাবলু ও অপরপক্ষে জেলা পরিষদের সদস্য ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি আসাবুল হক ঠান্ডু গ্রুপ। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশের উপস্থিতিতে পরিস্থিতি শান্ত হয়। বর্তমানে বড়বোয়ালিয়া গ্রামে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এ মারামারির ঘটনায় কাউসার আহমেদ বাবলু চেয়ারম্যানের স্ত্রীসহ উভয়পক্ষের ৪-৫ জন আহত হয়েছেন।
জানা গেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার ভাংবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান বড়বোয়ালিয়া গ্রামের কাউসার আহমেদের সাথে তার চাচাতো ভাই জেলা পরিষদের সদস্য ও ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি আসাবুল হক ঠান্ডুর বিরোধ চলে আসছে। রাজনীতিসহ বিভিন্ন সামাজিক কারণে তাদের মধ্যে এ বিরোধ চলছে। এরই মধ্যে গতকাল সন্ধ্যায় দুপক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বাধে। এতে কাউসার আহমেদ বাবলু চেয়ারম্যানের স্ত্রীসহ উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
এলাকাসূত্রে জানা যায়, গত ৮-১০ দিন আগে ভাংবাড়িয়া ইউনিয়নের মোড়ভাঙ্গা গ্রামের অনিক তার এক মেয়ে বন্ধুকে নিয়ে ঘোরাঘুরি করছিলেন। এ সময় বাবলু চেয়ারম্যান পক্ষের এক যুবক সে দৃশ্য মোবাইলফোনে ভিডিও করে তা হাটবোয়ালিয়া বাজারের উৎসুক অনেককে দেখিয়ে বেড়ান। দুপক্ষের বিরোধের আগুনে এই ঘটনা ঘি ঢালে। গতকাল সন্ধ্যার আগে এই বিরোধকে কেন্দ্র করে বাবলু পক্ষের কয়েক যুবক মোড়ভাঙ্গার অনিককে মারধর করে। তাতে বাঁধা দিতে গেলে ঠান্ডু পক্ষের ২ যুবক বড় বোয়ালিয়া গ্রামের আনিস ও কলিনকেও তারা পেটায়। এ ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে ঠান্ডু পক্ষের লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। অবস্থা বেগতিক দেখে হামলাকারীরা সটকে পড়েন। তাদেরকে খুঁজে না পেয়ে ঠান্ডু পক্ষের ক্ষুদ্ধ যুবকরা বাবলু চেয়ারম্যানের বাড়ি ঘিরে রাখে। বাবলু চেয়ারম্যানের বাড়ি ঘিরে রাখা যুবকরা সে সময় এলোপাথাড়ি ইট পাটকেল ছোড়েন বাড়ির ভেতর। ইটের আঘাতে বাবলু চেয়ারম্যানের স্ত্রীর মাথা কেটে রক্তাক্ত জখম হন। তাকে প্রথমে হারদী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়য়। পরে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। তাছাড়া আহত আনিস ও কলিনকে হারদী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে, এই ঘটনার কিছু সময় পর বাবলু চেয়ারম্যান পক্ষের লোক হিসেবে পরিচিত হাঁটুভাঙ্গা গ্র্রামের আয়ুব কসায়ের বাড়ির সামনে থেকে পুলিশ একটি বোমাসদৃশ বস্তু উদ্ধার করেছে। এ বোমাসদৃশ বস্তু নিয়েও নানা বিতর্ক চলছে এলাকায়।
হাটবোয়ালিয়া ফাঁড়ি পুলিশের আইসি বজলুর রশিদ জানান, পরিস্থিতি এখন শান্ত। সংঘর্ষে উভয়পক্ষে ৩ জন আহত হয়েছেন এমনটা জানেন তিনি।
পূর্ববর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ