বিশ্ব ইজতেমায় পাঁচ মুসল্লির মৃত্যু : ফিরতি পথে ভোগান্তি
আখেরি মোনাজাতে মুসলিম উম্মার মুক্তি ও ঐক্য কামনা
স্টাফ রিপোর্টার: দেশ-জাতি তথা বিশ্বমানবের মুক্তি-কল্যাণ ও ঐক্য কামনায় লাখো মুসল্লির অংশগ্রহণে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে গতকাল রোববার শেষ হয়েছে তাবলিগ জামাত আয়োজিত ৫৮তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের প্রথম অংশের আয়োজন। আখেরি মোনাজাতের সময় ‘আমিন, আল্লাহুম্মা আমিন’ ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে টঙ্গীর তুরাগ তীর। এ সময় আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় সমবেত লাখো মুসল্লি আকুতি জানান। মোনাজাতে বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর হেদায়েত, ঐক্য, শান্তি, সমৃদ্ধি, ইহকাল ও পরকালের নাজাত এবং দ্বীনের দাওয়াত সর্বত্র পৌঁছে দেয়ার জন্য দোয়া করা হয়। এছাড়া সব ধরনের গুনাহ থেকে মুক্তির জন্য আল্লাহর কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করা হয়। আখেরি মোনাজাতে নিজের আত্মশুদ্ধি ও নিজ নিজ গুনাহ মাফের পাশাপাশি দুনিয়ার সব বালা-মুসিবত থেকে হেফাজত করার জন্য দুই হাত তুলে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের দরবারে সন্তুষ্টি অর্জনের আশায় উপস্থিত লাখো মুসল্লি প্রার্থনা করেন। ইজতেমা এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, আখেরি মোনাজাতে অংশ নেয়ার জন্য শত শত নারী আশপাশের মিল-কারখানা ও বাসাবাড়ির ভেতর মোনাজাতে অংশ নিয়েছেন। বিশ্ব ইজতেমা ময়দানের তাশকিল কামরার পাশে প্রতিবন্ধীদের ইজতেমায় অংশগ্রহণের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ব্যবস্থায় দুই শতাধিক প্রতিবন্ধী বিশ্ব মোনাজাতে অংশ নিয়েছেন। এদিকে প্রথম দফার আয়োজনে ৫ মুসল্লির মৃত্যুর তথ্য পাওয়া গেছে। আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন ঢাকার কাকরাইল মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা জোবায়ের। শূরায়ে নেজামীর শীর্ষ মুরুব্বি মাওলানা কেফায়েত উল্লাহ জানান, সকাল ৯টায় শুরু হয়ে ৯টা বেজে ৩৫ মিনিটে মোনাজাত শেষ হয়। এর আগে ভোর ৪টা থেকে সারাদেশের মুসল্লিরা ইজতেমা মাঠে জমায়েত হতে শুরু করেন। আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে ভোর থেকেই ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে মুসল্লিদের ঢল নামে। ভোগড়া বাইপাস থেকে ইজতেমা মাঠের দূরত্ব ১০ কিলোমিটার। এই পুরো পথ হেঁটেই মুসল্লিদের আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে আসতে দেখা গেছে। গাজীপুরে মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) জানায়, শনিবার মধ্যরাত থেকে টঙ্গী-কামারপাড়া রোড, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গী থেকে গাজীপুরের ভোগড়া বাইপাস পর্যন্ত এবং আবদুল্লাহপুর থেকে আশুলিয়ার বাইপাইল পর্যন্ত যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। এ ছাড়া ময়মনসিংহ ও গাজীপুরগামী যানবাহনগুলোকে গাবতলী দিয়ে কোনাবাড়ী হয়ে এবং ময়মনসিংহ থেকে ঢাকাগামী যানবাহনগুলোকে ভোগড়া বাইপাস দিয়ে ৩০০ ফিট রাস্তা ব্যবহার করে চলাচল করতে বলা হয়। তাবলিগের শুরায়ে নেজাম বা মাওলানা জোবায়েরের অনুসারীদের প্রথম ধাপের ইজতেমার আখেরি মোনাজাত শেষে রোববার সকাল থেকে বাড়ি ফিরছেন মুসলিস্নরা। কেউ বাসে, কেউ ট্রেনে, কেউবা বাড়ি ফিরছেন হেঁটে। এতে গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগতীর ও আশপাশের এলাকায় দেখা দিয়েছে মানুষের ভিড়। যান চলাচলে দেখা দিয়েছে ধীরগতি। আখেরি মোনাজাত শেষে একসঙ্গে লাখ লাখ মানুষ ফিরতে শুরু করায় সর্বত্র মহাজটের সৃষ্টি হয়। টঙ্গী স্টেশনে ফিরতি যাত্রীদের জন্য অপেক্ষমাণ ট্রেনগুলোতে উঠতে মানুষের জীবনবাজির লড়াই ছিল উদ্বেগজনক। ট্রেনের ভেতরে জায়গা না পেয়ে ছাদে ও দরজা-জানালায় ঝুলে হাজার হাজার মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ফিরতে দেখা যায়। একপর্যায়ে মানুষের জন্য ট্রেন দেখা যাচ্ছিল না। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ও আশুলিয়া সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় ফিরতি মুসল্লিদের বিড়ম্বনা ও কষ্টের সীমা ছিল না। তিন-চার দিন ধরে টঙ্গীতে জমায়েত হওয়া মুসল্লিরা আখেরি মোনাজাতের পর একযোগে নিজ নিজ গন্তব্যে ফিরতে চাইলে অবর্ণনীয় দুর্ভোগের শিকার হন। হাজার হাজার বৃদ্ধ, শিশু-কিশোর ও নারী মাইলের পর মাইল হেঁটে মোনাজাতে শরিক হন এবং একইভাবে ফিরতে শুরু করেন। মোনাজাতের পর সীমিত আকারে যানবাহন চলাচল শুরু হলেও পরিস্থিতির তেমন কোনো উন্নতি হয়নি। তবে অধিকাংশ যানবাহন যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে বলে অভিযোগ করেছেন একাধিক মুসল্লি।
আখেরি মোনাজাতে শরিক হতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা টঙ্গী অভিমুখে ছুটতে থাকেন শুক্রবার থেকেই। বিশ্ব ইজতেমায় অংশগ্রহণকারীরা ছাড়াও কেবলমাত্র আখেরি মোনাজাতে শরিক হতে দূর-দূরান্ত থেকে মুসল্লিরা বাস, ট্রাক, পিকআপ, মিনিবাস, কার, মাইক্রোবাস, ট্রেন, লঞ্চ-স্টিমারে করে টঙ্গীতে পৌঁছে অবস্থান নিতে শুরু করেন। রাজধানীসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার লোকজন ভিড় এড়াতে নানা ঝক্কি-ঝামেলা উপেক্ষা করে রাতেই টঙ্গীমুখী হন। রাজধানী ঢাকা, গাজীপুর ও টঙ্গীর সরকারি বেসরকারি অফিস, ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান, দোকানপাট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সর্বত্রই ছিল পূর্ণ ছুটির আমেজ। গভীর রাত থেকে টঙ্গীমুখী সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়ায় দীর্ঘ পথ হেঁটে টঙ্গী পৌঁছতে হয়েছে লাখ লাখ মানুষকে। কয়েক লাখ মানুষ রাতেই ইজতেমার মাঠ কিংবা আশপাশের বাসা-বাড়ি, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের উড়াল সড়ক, বিভিন্ন ভবন, ভবনের ছাদ কিংবা করিডোরে এমনকি গাছতলায় অবস্থান নেন।
গতকাল রোববার ভোররাত থেকে যানবাহন শূন্য সড়ক-মহাসড়ক ও নদীপথে টুপি-পাঞ্জাবি পরা মানুষের বাঁধভাঙা জোয়ার শুরু হয়। চারিদিকে যতদূর চোখ যায় শুধু মানুষ আর মানুষ। সকাল ৭টার মধ্যে গোটা এলাকা জনতার মহাসমুদ্রে পরিণত হয়। সিলেটের মুসল্লি আব্দুর রহমান জানান, আখেরি মোনাজাত শেষে বাড়ি যাওয়ার জন্য দাঁড়িয়ে আছি কিন্তু বাস ভাড়া বেশি চাচ্ছে।
ঘড়ির কাঁটায় তখন সকাল ৯টা বেজে ৩৩ মিনিট। আখেরি মোনাজাত শেখ হতে কয়েক মিনিট বাকি। এমন সময় হঠাৎ বিকট শব্দ শোনা যায়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই আতঙ্কে মুসল্লিরা হুড়োহুড়ি শুরু করেন। এ সময় পড়ে গিয়ে ও পদদলিত হয়ে ৪১ মুসল্লি আহত হন। রোববার সকালে প্রথম ধাপের ইজতেমার আখেরি মোনাজাতের সময় টঙ্গীর স্টেশন রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ওই সড়কে খেলনা গ্যাস বেলুন বিক্রি করছিলেন এক ব্যক্তি। হঠাৎ একটি ড্রোন ক্যামেরার আঘাতে কয়েকটি বেলুন ফেটে যায়। বেলুন ফাটার বিকট শব্দে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন মুসল্লিরা। টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সিনিয়র স্টাফ নার্স মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, বেলুন ফাটার ঘটনায় আহত হয়ে তাদের হাসপাতালে মোট ৪১ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। তবে কারো অবস্থা গুরুতর নয়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তারা যে যার মতো চলে গেছেন। মূলত হুড়োহুড়ি করতে গিয়ে মুসলিস্নরা আহত হয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন বলেন, ‘টঙ্গীর স্টেশন রোড এলাকায় মুসল্লিরা মোনাজাতে ছিলেন। এ সময় সেখানকার আবেদা হাসপাতালের সামনে কয়েকটি গ্যাস বেলুন নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন এক ব্যক্তি। সেখানে কেউ একজন ড্রোন উড়িয়ে মোনাজাতের ছবি ও ভিডিও ধারণ করছিলেন। এর মধ্যে হঠাৎ ড্রোনটি গিয়ে বেলুনে আঘাত করলে দুই থেকে তিনটি বেলুন ফেটে বিকট শব্দ হয়। পরে হুড়োহুড়িতে মুসল্লিরা আহত হন।’ এ বিষয়ে টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই।’
গাজীপুর প্রতিনিধি জানান, যে মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হলো বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের প্রথম ধাপ, সেই আখেরি মোনাজাতে এবার বিপুল সংখ্যক নারীকে অংশ নিতে দেখা গেছে। ইজতেমা ময়দানে উপস্থিত হওয়ার সুযোগ না থাকায় কয়েক হাজার নারী অবস্থান নেন ময়দানের আশেপাশে। তাদের অনেকেই শনিবার রাত থেকে বিভিন্ন কারখানা, বাসা-বাড়ি ও দালানের ছাদে অবস্থান নেন। রোববার ভোর ভোর থেকে নারীরা ময়দানের পাশে আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতাল মাঠ, ইজতেমা মাঠের পশ্চিম পাশে কামারপাড়ায় এবং আশপাশের খোলা ময়দানে অবস্থান নেন। নরসিংদীর আমেনা আক্তার বলেন, ‘নরসিংদী থেকে আগের রাতে নাতিকে সঙ্গে নিয়ে এসে টঙ্গী হাসপাতাল মাঠে অবস্থান নিই। বিশ্ব ইজতেমায় নারীদের অংশগ্রহণের কোনো অনুমতি না থাকলেও আমরা পর্দার সঙ্গে লাখ লাখ মুসল্লিদের সঙ্গে আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে টঙ্গী হাসপাতাল চত্বরে অবস্থান নিই।’ একই কথা জানালেন গাজীপুরের কাপাসিয়া এলাকা থেকে আসা সালমা বেগম। তিনি বলেন, ‘মোনাজাতে শরিক হতে রোববার ভোরে ইজতেমা ময়দানের পূর্বপাশে এক ভবনের ছাদে বসে অবস্থান নিয়েছিলাম। আল্লহার কাছে নিজের, পরিবার ও দেশের কল্যাণ কামনা করতে মোনাজাতে অংশ নিই।’ গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার জৈনাবাজার এলাকা থেকে আসা সেলিনা আক্তার বলেন, ‘‘স্বামী-সন্তান সবাই ইজতেমা ময়দানে গেছেন। আর আমি শনিবার রাতে টঙ্গীতে আমার এক আত্মীয়ের বাসায় গিয়ে আখেরি মোনাজাতে শরিক হয়েছি।’ নারায়াণগঞ্জ থেকে স্বামী, ছেলে ও পুত্রবধূকে নিয়ে আসেন শাহানা আক্তার। তিনি জানান, শনিবার রাত ১১টার দিকে তারা ইজতেমায় এলাকায় এসেছেন। ফ্লাইওভারের নিচে মহাসড়কের পাশে তারা অবস্থান নেন। মানিকগঞ্জ থেকে আসা কমলা বানু বলেন, ‘লাখো মুসল্লির সঙ্গে মোনাজাতে শরিক হয়ে আমার মোনাজাতটি কবুল হয়ে যেতে পারে। তাই আল্লাহর কাছে চাইতে মানিকগঞ্জ থেকে এসেছি। পাপের জন্য ক্ষমা চাইতে এসেছি, লাখ লাখ মানুষের মাঝে আল্লাহ হয়তো কারো উছিলায় আমার কথা শুনবেন।’
টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমায় যোগ দিতে আসা ৫ মুসল্লি মারা গেছেন। আখেরি মোনাজাতের আগেরদিন শনিবার সন্ধ্যায় বার্ধক্যজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাজী আব্দুল গফুর (৭৫) নামে একজন মারা যান। তিনি ভোলার চরফ্যাশন এলাকার বাসিন্দা। একইদিন বিকালে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার রামনগর-তেগরিয়া এলাকার দোস্ত মোহাম্মদের ছেলে মিজ আলী (৬০) অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে মারা যান। এর আগে শুক্রবার রাতে মারা যান হবিগঞ্জের বাহুবল থানার রাগবপুর এলাকার নওয়াব উল্লার ছেলে মো. ইয়াকুব আলী (৬০)। এদিন সকালে মারা যান খুলনার ডুমুরিয়া বাজার এলাকার বাসিন্দা লোকমান হোসেন গাজীর ছেলে আব্দুল কুদ্দুস গাজী (৬০)। দুপুরে মারা যান শেরপুরের শ্রীবর্দী থানার রাণী শিমুল এলাকার মো. আব্দুল্লাহ’র ছেলে ছাবেদ আলী (৭০)। ইজতেমা ময়দানে তাদের জানাযা শেষে মরদেহ গ্রামের বাড়িতে পাঠানো হয়। প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শুরু হয়েছিল মাওলানা জোবায়েরের অনুসারীদের প্রথম ধাপের ইজতেমা। আজ সকালে আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয় এ ধাপের ইজতেমা। মোনাজাত পরিচালনা করেন কাকরাইল মসজিদের ইমাম মাওলানা জোবায়ের। বিগত বছরগুলোয় তাবলিগের দুই পক্ষ মাওলানা জোবায়ের ও সাদ কান্ধলভীর অনুসারীরা দুই পর্বে আলাদাভাবে ইজতেমা করতেন। তবে এবারই প্রথম মাওলানা জোবায়েরের অনুসারীরা দুই ধাপে ইজতেমা করবেন। এর মধ্যে গত শুক্রবার শুরু হওয়া প্রথম ধাপের ইজতেমা শেষ হয়েছে রোববার। এতে অংশ নিয়েছেন ৪১ জেলা ও ঢাকার একাংশের মুসল্লি। আজ সোমবার শুরু হবে দ্বিতীয় ধাপের ইজতেমা, চলবে ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। আর ১৪ থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি মাওলানা সাদের অনুসারীদের ইজতেমা পালনের কথা আছে।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.