অধিকাংশ মানুষ মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মানছে না : আবার লকডাউন দেয়া নিয়ে শঙ্কা
স্টাফ রিপোর্টার: টানা কঠোর বিধি-নিষেধ শিথিলের পর প্রথম দিনই চেনা রূপে ফিরছে দেশ। সরকারি-বেসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত অফিসসহ সব শিল্পকারখানা খুলেছে। শপিংমল, মার্কেট, দোকানপাট-বিপণিবিতান, হোটেল চালু হয়েছে। হঠাৎ করেই সড়কে মানুষ বেড়ে গেছে কয়েকগুণ। শতভাগ যাত্রী নিয়ে চলেছে গণপরিবহণ। শহরের অলিগলিতে সকাল থেকেই ছিল মানুষের স্রোত। তবে মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রবণতা কম দেখা গেছে। অটোরিকশা, পণ্যবাহী ছোট ও মাঝারি ট্রাক, পিকআপ, মাইক্রোবাস, ব্যক্তিগত ছোট ও মাঝারি গাড়ি সব রাস্তায় নেমেছে। বাসে গাদাগাদি করে মানুষ চলাচল করেছে। বেশির ভাগ বাসে যাত্রীদের স্যানিটাইজার দেয়া হয়নি। ট্রেন-লঞ্চেও একই অবস্থা। কোথাও সামাজিক দূরত্ব রক্ষা হয়নি। রাস্তায় নামা অধিকাংশ মানুষের মুখে ছিলো না মাস্ক।
কোভিড-১৯ এর ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার ঘোষিত লকডাউনে স্থবির হয়ে পড়েছিলো জনজীবন। ঈদে কয়েকদিন বিরতি দিয়ে টানা প্রায় চার মাস ধরে কঠোর বা শিথিল বিধিনিষেধে ছিলো দেশ। হুমকির মুখে পড়েছিলো মানুষের জীবিকা। অবশেষে শিথিল লকডাউনের ঘোষণায় সেই অচলায়তন ভেঙে গতকাল বুধবার থেকে মানুষ রাস্তায় হুমড়ি খেয়ে পড়ে। করোনা আতঙ্ক দূরে ঠেলে দিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার ব্যাকুলতার পাশাপাশি ‘আবার কখন লকডাউন দেয়া হয়’ সেই আশঙ্কাও ভেতরে ভেতরে কুরে খাচ্ছে অনেককে। গতকাল বুধবার ভোর থেকে সারা দেশে গণপরিবহণ চলাচল শুরু হয়েছে। নির্দেশনা অনুযায়ী সড়কে মোট বাসের অর্ধেক বাস চলাচল করার কথা। কিন্তু বাস্তবে অনেক বেশি দেখা গেছে। গাদাগাদি করে যাত্রীদের গন্তব্যে যেতে হয়েছে। বাসে থাকলেও ভিড়ের মধ্যে যাত্রীদের স্যানিটাইজার দেয়া সম্ভব হয়নি। চাপে যাত্রীদের মাস্কও মুখ থেকে সরে গেছে।
কোরবান আলী নামের বাসের যাত্রী বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও মাস্ক পরে স্বাভাবিক জীবনের চেষ্টায় থাকতে চাই আমরা। লকডাউন কোনো সমাধান মনে করি না। তবে বাসে এক সিটে একজন বসাটাই ভালো ছিলো। কিন্তু বাস্তবে তা হচ্ছে না।’ এ সময় পরিবহণটির এক কর্মী বলেন, আমরা গাড়িকে জীবাণুনাশক দিয়ে স্যানিটাইজ করেছি। যাত্রীদের হাতে জীবাণুনাশক দিচ্ছি এবং মাস্ক ছাড়া কাউকে বাসে উঠতে দিচ্ছি না।’ কিন্তু বাসেই প্রচুর যাত্রী দেখা গেছে যারা স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। অনেক বাসে আসনের বেশি যাত্রী বহন করেছে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত ২৮ জুন থেকে সীমিত আকারে বিধি-নিষেধ শুরু হয়। পরে ১ জুলাই থেকে কঠোর বিধিনিষেধ শুরু হয়। ঈদের ব্যবসার জন্য আট দিনের জন্য কঠোর বিধিনিষেধ শিথিল করে সরকার। তাতে ঈদের আগে ছয় দিন বেচাবিক্রির সুযোগ পান ব্যবসায়ীরা। ২৩ জুলাই থেকে আবার ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধ শুরু হয়। পরে সেটি মঙ্গলবার পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়।
পূর্ববর্তী পোস্ট
সেপ্টেম্বরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার চিন্তা আছে: শিক্ষামন্ত্রী
পরবর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ